শিরোনাম :
ফ্রিজ়ে রাখা দুধ গরম করলেই ছানা হয়ে যায়! ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নতুন ৫ খাবার গোপন করেছিলেন বিয়ে, প্রেমে পড়েছিলেন সহ-অভিনেত্রীর, বহুকামিতা নিয়ে প্রচারে থাকেন বলি নায়িকা ‘আল্লার কাছে পাঠিয়ে দেব’, ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্ডোগানের বার্তা রাশিয়ার পরে এ বার আইএসের হানা গৃহযুদ্ধ দীর্ণ সিরিয়ায়, বিস্ফোরণ, গুলিতে নিহত অন্তত ১১ রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্টারের বিরুদ্ধে মামলা করলো দুদক পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় মৃত ৬ বিশ্বসুন্দরীমঞ্চে এই প্রথম মুসলিমবিশ্বের প্রতিনিধি… দেখে নিন আপনি বুদ্ধিমান কী না! দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কাজে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাসিক মেয়রের বাণী

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাসিক মেয়রের বাণী

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাসিক মেয়রের বাণী
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাসিক মেয়রের বাণী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস-২০২১ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বাণীতে মেয়র বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবময় দিন। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের এই শুভক্ষণে আমি রাজশাহীবাসীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বাণীতে মেয়র বলেন, সরকার জাতির পিতার কর্মময় জীবন আপামর জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে ১৭ মার্চ-২০২০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর-২০২১ পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে নানা অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে মুজিববর্ষ পালিত হচ্ছে। দেশের পাশাপাশি ইউনেসকোর উদ্যোগে বিশ^ব্যাপী পালিত হচ্ছে মুজিববর্ষ। এ বছর আমরা আমাদের গৌরবের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছি। বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের এই বিশেষ সময়ে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের। আরো গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের।

বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি অত্যন্ত মানবদরদী ও অধিকার আদায়ে আপোসহীন ছিলেন। স্কুলজীবন থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ের প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। এ জন্য তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। তবুও বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনো শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপোস করেননি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জনসমুদ্রের সামনে যে ভাষণ প্রদান করেন তা মূলত বাঙালির মুক্তির সনদ। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ৭ই মার্চের সেই ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। ২৬ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয়মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চুড়ান্ত বিজয়। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশের স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্রের বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ হন। একই সাথে শহীদ হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ আরো অনেকে। এ নৃশংস হত্যাকা- পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এরপর ৩রা নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকেরা। এ হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। স্বাধীনতা বিরোধী জাতীয় শত্রু ও ঘাতকরা রক্তে অর্জিত বাঙালির রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংসের হীন উদ্দেশ্যেই দেশপ্রেমিকদের হত্যা করেছিল। কিন্তু দেশবাসী সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে সোনার বাংলা গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। দেশের মানুষের সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী যে গতিতে উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন, তাতে আগামী ২০৪১ সাল নয়, তার অনেক আগেই বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বাস্তবায়নে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা সর্ম্পকে জানাতে হবে। ঐতিহাসিক বিজয় দিবসে আমি বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই। বিজয় দিবসে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

মতিহার বার্তা / এম জি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply