অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (আরটিজেএ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামলের বিরুদ্ধে করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের চাল আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে আরটিজের তদন্ত কমিটি।

সরজমিন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে এ প্রমাণ পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনটি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উত্থাপনের জন্য আরটিজেএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মেহেদী হাসান শ্যামল রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নাম ব্যবহার করে করোনার সময় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান দেয়া এক হাজার কেজি জিআর চাল উত্তোলন করেন। চাল উত্তোলনের বিষয়ে তৎকালীন নির্বাহী কমিটি, এমনকি সাধারণ সদস্যরাও অবগত নন। এ বিষয়ে বিগত নির্বাহী কমিটির কোনো রেজুলেশনও পাওয়া যায়নি। প্রাপ্ত কাগজপত্র অনুযায়ী যা প্রমাণিত।

তদন্ত কমিটি মনে করে, মেহেদীর এমন কর্মকাণ্ডে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। মেহেদী হাসান শ্যামল কর্তৃক সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা গঠনতন্ত্রের ৮-এর (গ) ধারার লঙ্ঘন। যেহেতু তিনি কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন, সেহেতু এ কমিটি মনে করে- এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তদন্ত প্রতিবেদনটি সাধারণ সভায় উত্থাপন করা হবে।

এর আগে আরটিজেএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামলের বিরুদ্ধে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভোরের কাগজে ‘আরটিজেএর নামে চাল বরাদ্দ নিয়ে লোপাট, তদন্তের নির্দেশ জেলা প্রশাসকের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করে রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। সভায় গঠনতন্ত্রের ৮-এর (গ) ধারা মোতাবেক পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সংগঠনটি।

কমিটিতে আরটিজেএর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সাংবাদিক আজিজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়। সদস্য সচিব করা হয় সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক মাইনুল হাসান জনিকে। সদস্য করা হয় তিনজনকে। তারা হলেন- এনটিভির শ ম সাজু, একুশে টেলিভিশনের বদরুল হাসান লিটন ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের গোলাম রাব্বানী।

তদন্ত কমিটির প্রথম সভা হয় গত ৮ অক্টোবর। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে তদন্ত কমিটি সরজমিন তদন্ত শুরু করে। তদন্তসংশ্লিষ্ট প্রমাণগুলো সংগ্রহ করার পর গত ১২ নভেম্বর তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত সভায় তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে আলোচনা করা হয়।

এ বিষয়ে আরটিজেএর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম জানান, গত ১৫ নভেম্বর তদন্ত কমিটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। পরবর্তী ব্যবস্থা নির্বাহী কমিটি গ্রহণ করবে। আরটিজেএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান জনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবদেনটি হাতে পেয়েছি। দ্রুত সময়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করা হবে। সভায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সুত্র: ভোরের কাগজ

মতিহার বার্তা / ইএবি