শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
চিকন চালের ধান উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহীর নূর মোহাম্মদ

চিকন চালের ধান উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহীর নূর মোহাম্মদ

চিকন চালের ধান উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহীর নূর মোহাম্মদ
চিকন চালের ধান উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহীর নূর মোহাম্মদ

অনলাইন ডেস্ক: বাজারে এখন চিকন চাল বলতে পাওয়া যায় চিনি গুঁড়া, দাদখানী, রাঁধুনীপাগল, কালজিরা, বাঁশফুল ও কাটারী ভোগ। তবে এসবের চেয়েও একটি চিকন চালের ধান উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহীর স্বশিক্ষিত কৃষিবিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদ। অন্য ধানের চেয়ে এর ফলনও ভাল। আমন এবং বোরো -দুই মৌসুমেই চাষ করা যাবে এই ধান।

নূর মোহাম্মদ তাঁর উদ্ভাবন করা জাতের নাম দিয়েছেন ‘নূর ধান’। নূরের দাবি, এটিই এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে চিকন চালের ধান। ছয় বছরের নিরলস চেষ্টায় তিনি এ জাত উদ্ভাবন করেছেন। আমন মৌসুমে তার উদ্ভাবিত এই ধানের গড় ফলন হবে বিঘাপ্রতি ১৭ মণ। আর বোরো মৌসুমে বিঘাপ্রতি ফলন হবে প্রায় ২১ মণ।

দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা কৃষক নূর মোহাম্মদের বয়স এখন ৫০। বাড়ি রাজশাহীর তানোর পৌরসভার গোল্লাপাড়া মহল্লায়। বরেন্দ্রের পোড়ামাটিতে কীভাবে কম পানিতে ধান উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে প্রায় ৩০ বছর ধরে গবেষণা করছেন তিনি। নিজের বাড়ির মাটির ঘরে রীতিমতো গড়ে তুলেছেন গবেষণাগার। সেখানে সংরক্ষিত আছে বহু জাতের ধানের বীজ। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এক জাতের ধানের জিনের সঙ্গে আরেক জাতের সংমিশ্রণ করে তিনি উদ্ভাবন করছেন নতুন নতুন জাত। ইতোমধ্যে তিনি দুই শতাধিক ধানের কৌলিক সারি উদ্ভাবন করেছেন। একেকটি জাত উদ্ভাবন করতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত।

নূর মোহাম্মদ এবার আমন মৌসুমে কয়েকটি জাতের ধানের জিনের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে উদ্ভাবন করেছেন ‘নূর ধান’। গোল্লাপাড়ায় নিজের গবেষণা মাঠেই আবাদ করেছিলেন এ ধান। সম্প্রতি জমির ধান০ কেটেছেন। ধান কাটার সময় উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডিএফএম ইমদাদুল ইসলাম এবং স্থানীয় কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন। মাড়াই ও ঝাড়ার পর শুকনো ধানের বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে সাড়ে ১৭ মণ।

নূর মোহাম্মদ বলেন, ধানটি চিনি গুঁড়ার মতোই চিকন, তবে চিনি গুঁড়ার চেয়ে লম্বা। দেশের ঐতিহ্যবাহী দাদখানী, রাঁধুনীপাগল, কালজিরা, বাঁশফুল, কাটারী ভোগের চেয়ে এ ধানের চাল অনেক চিকন। আমন ও বোরো -দুই মৌসুমেই ধানটি চাষ করা যাবে। তবে ফলন বেশি হবে বোরো মৌসুমে। সুগন্ধি না হলেও এ চালের ভাত খেতে ভাল লাগবে। তিনি জানান, দেশের কোন চিকন ধানে বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১২ মণের বেশি ফলন হয় না। সে তুলনায় তাঁর ধানের ফলন অনেক বেশি। কৃষকপর্যায়ে ধানটি ছড়িয়ে দিতে পারলে তাঁরা লাভবান হবেন বলেই আশা নূর মোহাম্মদের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল ইসলাম বলেন, ‘নূর মোহাম্মদ ধান নিয়ে গবেষণা করেন। এর জন্য ২০০৫ সালেই তিনি রাষ্ট্রপতি কৃষিপদক পেয়েছেন। এবার তিনি যে চিকন ধানটার কথা বলছেন, সেটা জমিতে শীষ আসার আগে আমি একবার দেখেছিলাম। পরে আর যাওয়া হয়নি। তাই এটার বিষয়ে আমি বিস্তারিত আর জানি না।’ তিনি বলেন, ‘নূর মোহাম্মদ নতুন জাত হিসেবে বলতে পারেন। তবে আমরা যাঁরা চাকরি করি, তাঁরা বলতে পারব না। কারণ, নতুন জাতের স্বীকৃতির জন্য জাতীয় বীজ বোর্ডে আবেদন করতে হয়। অনেক প্রক্রিয়ার বিষয়। সরকার জাত হিসেবে ঘোষণা দেয়, গেজেট প্রকাশ করে। তারপরই কোন ধানকে আমরা নতুন জাত হিসেবে বলতে পারি। নূর মোহাম্মদের ধানটির বিষয়ে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply