শিরোনাম :
ফ্রিজ়ে রাখা দুধ গরম করলেই ছানা হয়ে যায়! ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নতুন ৫ খাবার গোপন করেছিলেন বিয়ে, প্রেমে পড়েছিলেন সহ-অভিনেত্রীর, বহুকামিতা নিয়ে প্রচারে থাকেন বলি নায়িকা ‘আল্লার কাছে পাঠিয়ে দেব’, ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্ডোগানের বার্তা রাশিয়ার পরে এ বার আইএসের হানা গৃহযুদ্ধ দীর্ণ সিরিয়ায়, বিস্ফোরণ, গুলিতে নিহত অন্তত ১১ রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্টারের বিরুদ্ধে মামলা করলো দুদক পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় মৃত ৬ বিশ্বসুন্দরীমঞ্চে এই প্রথম মুসলিমবিশ্বের প্রতিনিধি… দেখে নিন আপনি বুদ্ধিমান কী না! দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কাজে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকাকে পেটালেন প্রধান শিক্ষক

স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকাকে পেটালেন প্রধান শিক্ষক

স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকাকে পেটালেন প্রধান শিক্ষক
স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকাকে পেটালেন প্রধান শিক্ষক

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় অবস্থিত ক্ষদ্র শাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম আলী। রেগে গেলে কিংবা কোনো শিক্ষক তার সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ালেই তিনি মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুরেও উপজেলার ক্ষদ্র শাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে।

প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে মারধরের স্বীকার হয়েছেন স্কুলের নারী শিক্ষক সাঈদা ইসলাম।

এর আগে ২০১৮ সালে বিদ্যালয়ের আরেক নারী শিক্ষককে পিটিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক আকরম। তবে তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে কেউ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করতে পারেননি। প্রধান শিক্ষকের মারধরে গুরুতর আহত শিক্ষককে গোদাগাড়ীর ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) লাইলা তাসলিমা নাসরিন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গর্হিত। নারী শিক্ষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক আকরম আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, একটি বিষয় নিয়ে ক্ষুদ্র শাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরম আলীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদা ইসলামের বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক আকরম ওই নারী শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে করে ওই শিক্ষক কান ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন।

প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষকদের অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় থাকায় এবং তার অন্যায় কাজের প্রতিবাদ কেউ না করার কারণে তিনি সকল শিক্ষকের সঙ্গেই এমন মারমুখী আচরণ করেন। তবে তার দাপটের কারণে কেউ মুখ খুলতে ভয় পায়।
এদিকে শিক্ষক সাঈদা ইসলামের অভিযোগ, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্রের জন্য প্রধান শিক্ষক টাকা আদায় করছিলেন। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক সাইদা ইসলামকে কথা বলতে নিষেধ করেন। তিনি না শোনায় এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাগবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তাকে বেধরড়ক মারপিট করেন প্রধান শিক্ষক।

এদিকে রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনা আমার জানা নেই। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে যদি এ বিষয়ে অভিযোগ পাঠায় তাহলে অবশ্যই আমি এ বিষয়ে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো। এমন র্ঘণ্য ঘটনার জন্য কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।

জানতে চাইলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দায়ের হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply