শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
বাগমারায় নৌকার পোস্টার ঝুলিয়ে শিক্ষকের জমি দখলের অভিযোগ

বাগমারায় নৌকার পোস্টার ঝুলিয়ে শিক্ষকের জমি দখলের অভিযোগ

বাগমারায় নৌকার পোস্টার ঝুলিয়ে শিক্ষকের জমি দখলের অভিযোগ
বাগমারায় নৌকার পোস্টার ঝুলিয়ে শিক্ষকের জমি দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজশাহীর বাগমারায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার ঝুলিয়ে এক স্কুল শিক্ষকের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বাসুপাড়া ইউনিয়নের দেউলা গ্রামের স্কুল শিক্ষক। দেউলা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় তার রয়েছে পৈত্রিক সম্পত্তি। সেখানে শিক্ষক মোয়াজ্জেম ও তার চাচার রয়েছে প্রায় ২৭ থেকে ২৮ শতক জমি। যার মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা।

ভুক্তভোগী স্কুলশিক্ষকের অভিযোগ, ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখনো কোনো প্রতিকার পাইনি। স্কুলশিক্ষকের ভাষ্য, জমির পাশে একটি শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় আছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তার ওই জমি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে পুঁজি করে ওই চক্র পুণরায় তৎপর হয়ে উঠেছে। জমিটি দখলের জন্য ওই শ্রমিক সংগঠনকে ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছে প্রভাবশালী একটি মহল।

তিনি বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর মানিক ম-ল, ইসরাইল হোসেন, ফজলুর রহমানসহ কয়েকজন তার বাস টার্মিনালের ওই জায়গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনের ক্যাম্প স্থাপনের জন্য ঘিরে ফেলেন। প্রথমে বাঁশ ও কালো কাপড় দিয়ে ঘেরেন ওই জায়গাটি। পরে সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লুৎফর রহমানের নৌকার পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকদিন আমার ভাগ্নীর বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শামীম মীর নামের স্থানীয় এক যুবলীগের নেতা ওই স্থানে সিমেন্টের খুঁটি ও ওপরে ঢেউটিনের ছাউনি ঘর নির্মাণ করে। তাদের ঘর তোলা দেখে বাধা দিলে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

পরে আমার চাচাকে জানালে তিনিও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান। এতে কাজ না হওয়ায় ইউএনও ও থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগ পেয়ে ওই দিনই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

দখলদারেরা তখন পুলিশকে বলেন, নির্বাচনের পর এ বিষয়ে কথা হবে। তার আগে নয়।

এ অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি একেবারেই ভিত্তিহীন। আমরা কারো জমি দখল করতে যাবো কেন? এটার প্রশ্নই ওঠে না। নির্বাচনী অফিস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে হয়েছে।

শ্রমিক ইউনিয়ন কোথায় জানতে চাইলে তিনি জবাবে বলেন, আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে তার উচিৎ ছিল সবার আগে আমাকে জানানো। আমাকে জানালে আমি তার বিষয়টি দেখে দিতাম। কিন্তু তিনি সেটা না করে অন্য কোথাও বলেছেন। যেটা উচিৎ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ওই স্থান দীর্ঘদিন যাবৎ দখলে রেখেছেন উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইসরাইল হোসেন। জায়গাটি অভিযোগকারী স্কুলশিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেনের দাদা তাদের (শ্রমিক সংগঠনকে) মৌখিকভাবে দান করেছিলেন ৩০ থেকে ৪০ বছর আগে। জায়গাটি তিন মানুষের মতো নিচু ছিল। আমরাই ভরাট করেছি। কিন্তু তারা যদি এখন জায়গাটি ফেরত নিতে চায় তবে তা ছেড়ে দেবো। কিন্তু তাকে তো আমাদের সঙ্গে বসা লাগবে। না বসলে কি সমস্যার সমাধান হয়?

এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন বলেন, এখন তো নির্বাচন চলছে। নির্বাচন চলাকালীন এসব জমিজাতির বিষয়গুলো দেখা মুশকিল। ৫ তারিখ নির্বাচন শেষে আমি বাদী ও বিবাদীকে নিয়ে একটি সমঝোতা করে দেওয়ার চেষ্টা করবো। তবে নির্বাচনের আগে এটা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক সুফিয়ানকে একাধিক বার মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোন ধরেননি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply