অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে বিভিন্ন বিদেশি ফলের চাহিদা। আর এই চাহিদার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে উৎপাদন। দেশের বাজারে বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় বিদেশি ফলের মধ্যে একটি হল ড্রাগন ফ্রুট। এই ফলের চাষ করে লাভবান হতে পারেন আপনিও।
কী এই ড্রাগন ফ্রুট?
ড্রাগন ফ্রুট হল গোলাপি রঙের সুস্বাদু একটি ফল। থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ইসরায়েল প্রভৃতি দেশে ব্যাপক হারে চাষ করা হয় এই ফলের। পুষ্টিগুনের সঙ্গেই এই ফলের বাজার দরও কিন্তু বেশ ভালো। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে থাকে ফ্যাট এবং প্রোটিন। ড্রাগন ফ্রুট যেমন ডায়বেটিস এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে,তেমনই বাতের ব্যথা এবং হৃদরোগেরও ঝুঁকি কমায়। তাছাড়াও প্রচুর জল থাকায় শরীর তরতাজা রাখতেও সাহায্য করে এই ফল।
কীভাবে চাষ করবেন ড্রাগন ফ্রুট?
অতি সহজেই চাষ করা যায় এই ফল। এমনকি বেশি দেখভাল বা সারেরও দরকার পড়ে না ড্রাগন ফ্রুট চাষে। মোটামুটি ২০° থেকে ৩০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো বাড়ে এই গাছ। ফলনও দেয় সবচেয়ে বেশি। দেশে প্রায় সমস্ত জায়গাতেই শীতের শেষ থেকে গ্রীষ্মের মধ্যে আদর্শ তাপমাত্রা থাকে এই ফল চাষের জন্য। এই ফল চাষের জন্য দরকার বেলে মাটি। মাটির অম্লতা থাকতে হবে পিএইচ স্কেলে ৫.৫ থেকে ৭ এর মধ্যে। অল্প জলেও দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ।
অতি অল্প যত্নেই একটি মরশুমে অন্তত তিনবার ফল দেয় একটি ড্রাগন ফ্রুট গাছ। মোট ফলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০ থেকে ৬০ টি। মে-জুন মাস নাগাদ ফুল আসে গাছে। ফল ধরে ডিসেম্বরের শেষের দিকে।
গাছ রোপণের পর একটু বড় হয়ে উঠলে লোহার তার দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দিতে হয় সেগুলিকে। এই গাছের ২৮০ থেকে ৩০০ টি চারা রোপণ করা সম্ভব এক হেক্টর জমিতে।
কত টাকা লাভ করা সম্ভব ড্রাগন ফ্রুট থেকে?
এই ফলের দাম বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ২৫০-৩০০ টাকা। পরিণত অবস্থায় এক একটি ড্রাগন ফ্রুটের ওজন হয় প্রায় ৪০০ গ্রাম। তাই মাত্র দুটি ফল বিক্রি করেই পাওয়া যায় ১৫০-২০০ টাকার কাছাকাছি।
এক হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফ্রুট চাষের জন্য খরচ পড়ে মোটামুটি ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। একবার এই খরচের পর প্রতি বছর সেই জমি থেকে মোটামুটি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.