শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি প্রদীপ লিয়াকত কেমন আছেন কারাগারে

সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি প্রদীপ লিয়াকত কেমন আছেন কারাগারে

সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি প্রদীপ লিয়াকত কেমন আছেন কারাগারে
সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি প্রদীপ লিয়াকত কেমন আছেন কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার: ১ ফেব্রুয়ারি মেজর(অব) সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি প্রদীপ ও লিয়াকত ছিলেন নির্বিকার।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শুনে কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আসামি মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন। এরপরে তারা অপর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নন্দ দুলাল রক্ষিতকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ সময় আইয়াজ বলতে থাকেন, আমাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় নন্দ দুলাল। সে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।

আদালত থেকে কারাগারে ফেরার পথেও প্রদীপ লিয়াকত কোনো কথা বলেননি। এরপর কারাগারের দুটি আলাদা কনডেমড সেলে রাখা হয় তাঁদের। একজন কারা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা দুজন একেবারেই চুপচাপ, কারো সঙ্গে কথা বলছেন না।

কারা সূত্র জানায়, অন্য কয়েক দিনের মতো প্রদীপ ও লিয়াকতকে পরানো হয়েছে কারা পোশাক। এরপর তাদের পৃথক দুটি কনডেমড সেলে পাঠানো হয়। কারাগারের অন্য বন্দীদের মতো তাঁদের খেতে দেওয়া হয় সাদা ভাত, মাছ ও সবজি। অন্য সেলের তুলনায় কনডেমড সেল আকারে ছোট। সেলের ভেতর আলো-বাতাস তেমন থাকে না। তবে দিনের নির্দিষ্ট সময় আসামিদের সেলের বাইরে হাঁটাচলার সুযোগ দেওয়া হয়। কনডেমড সেলের আসামিরা মাসে এক দিন জেলগেটে গিয়ে দর্শনার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান।

গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে নেওয়ার জন্য আসামিদের যখন প্রিজন ভ্যানে ওঠানো হচ্ছিল, তখন কয়েকজন আসামি চিৎকার করলেও প্রদীপ ও লিয়াকত ছিলেন নির্বিকার। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলা কারাগারে পৌঁছানোর পরও চুপচাপ ছিলেন তাঁরা।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. নেচার আলম প্রথম আলোকে বলেন, প্রদীপ ও লিয়াকত এখন সাধারণ বন্দী। দুজনকে পৃথক দুটি কনডেমড সেলে রাখা হয়েছে। তাঁরা চুপচাপ আছেন। শরীরের অবস্থাও স্বাভাবিক আছে। রাতের খাবার ও সকালের নাশতাও খেয়েছেন দুজন। বাইরের কারও সঙ্গে তাঁদের দেখা–সাক্ষাৎ হয়নি। সম্পাদনা: ঝুমুরী বিশ্বাস।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply