নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান এক ব্যাংক কর্মচারীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন। তার নাম রাকেশ আলী (২৬)। তিনি সোনালী ব্যাংকের রাজশাহী কর্পোরেট শাখার বার্তা বাহক। রবিবার দুপুরে পাসপোর্ট অফিস থেকে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
রাকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজশাহী মহানগরীর বুলনপুর এলাকার বাসিন্দা জীবন কুমারের পাসপোর্ট করতে সহায়তার নামে তার কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আদায় করেন। জীবন কুমার পাসপোর্ট কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে বিষয়টি জানালে তাকে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, পাসপোর্টের আবেদন করার জন্য সোনালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখায় টাকা জমা দিতে হয়। সেখানে টাকা দিতে গেলে রাকেশ জীবন কুমারের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১ হাজার ২০০ টাকা আদায় করেন। এরপর জীবনকে সঙ্গে নিয়েই তিনি তার আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন। এ সময় দুজনের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তাদের আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই রাকেশের অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। তাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
রাকেশকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ডেকে হাফিজুর রহমান জীবনের আবেদনপত্র দ্রুত গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেন। বলেন, জীবন ভুক্তভোগী। তার আবেদনটা ‘স্বসম্মানে’ গ্রহণ করুন। এ বিষয়ে হাফিজুর রহমান বলেন, তিনি পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত করেছেন। কিন্তু ব্যাংকেরও কর্মচারী এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এটা দুঃখজনক। তার অফিস থেকে পাসপোর্ট করাতে কাউকে যেন এক টাকাও বেশি দিতে না হয় সে জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, পাসপোর্ট অফিসে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কাছে একজন আটক আছে বলে শুনেছি। আটক ব্যক্তিকে থানায় আনার পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতিহার বার্তা ডট কম ২৫ মার্চ ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.