শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
রাবিতে পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ

রাবিতে পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ

রাবিতে পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ
রাবিতে পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক:  ফিশারিজ বিভাগে ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট কোর্সের (এফএমএমও-৬৪৫) পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে ওই কোর্সের শিক্ষক ইয়ামিন হোসেনের গত বছরের ১৮ ডিসেম্বরের একটি অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পড়ানো একটি প্রশ্নপত্রের ‘হুবুহু মিল’ খুঁজে পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে ফিশারিজ বিভাগের আরেক শিক্ষক মো. ইসতিয়াক হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রেজিস্ট্রার ও বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ ও পরীক্ষা বাতিলের আবেদন করেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ বিভাগে ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট (এফএমএমও-৬৪৫ কোর্সের) শিক্ষক অধ্যাপক মো. ইয়ামিন হোসেন গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের কাছে একটি প্রশ্নপত্র শেয়ার করেন। ওই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে চলতি বছর ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া কোর্সের পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রশ্নপত্রের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। অল্পকিছু সমজাতীয় শব্দ ছাড়া দুই প্রশ্নপত্রের মধ্যে কোনো অমিল নেই।

এ কারণে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা বাতিল করার অনুরোধ করেন ইসতিয়াক।

ইসতিয়াক বলেন,“গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর একটি অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের কাছে শেয়ার করা একটি প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া এফএমএমও-৬৪৫ কোর্সের পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রশ্নপত্রের মিল দেখতে পেয়ে একই কোর্সের দুই সেট মডারেটেড প্রশ্নের সন্ধান করি। সেখানেও খেয়াল করি দুই সেট মডারেটেড প্রশ্নপত্র হুবহু এক।”

এ ঘটনাকে একাডেমিক দুর্নীতি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,“প্রশ্নপত্র মডারেশনের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত যে অনিয়ম হচ্ছে সেই বিষয়টিকে সবার সামনে আনতে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যই এই অভিযোগ দিয়েছি। যেন আর কোনো শিক্ষার্থীরা এই অনিয়মের ভুক্তভোগী না হয়।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইয়ামিন হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি না।”

এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি, তবে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আপানি চাইলে এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে পারেন।”

ফিশারীজ বিভাগের সভাপতি এম মনজুরুল আলম বলেন, “অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি যদি আসলেই সত্যি হয়ে থাকে তবে এটি পুরো বিভাগ এবং আমার জন্য দুঃখজনক ও বিব্রতকর। খুব দ্রুতই একাডেমিক কমিটির সাথে বিষয়টি নিয়ে আমরা বসব।”

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আলমগীর হোসেন সরকার ইতোমধ্যে অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “গতকাল অভিযোগপত্র দেরিতে পাওয়ায় এবং আজ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আগামীকাল অভিযোগটি উপাচার্য বরাবর পাঠাবো। এর আগে ওই বিভাগ থেকে প্রশ্নপত্র ফেইসবুকে দেওয়ার অভিযোগ এসেছিল। সে ঘটনারও তদন্তের কাজ অব্যাহত আছে। হয়তো সবমিলিয়ে একটা যৌথ সিদ্ধান্ত আসবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, “অভিযোগটি শুনেছি। এর আগেও বিভাগটিতে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এ বিষয়ে দ্রুতই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply