শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ
ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

এসএম বিশাল: ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্স রাজশাহী শাখার বিরুদ্ধে পূর্বের ন্যায় আবারো অভিযোগ উঠেছে। একটুু ভালো থাকার জন্য ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ের আশায় আর বীমা কোম্পানির লোভনীয় চটকদার কথায় বিশ্বাস করে নির্দিষ্ট নিয়মে নিয়মিত মাসিক ও বাৎসরিক প্রিমিয়াম পরিশোধ করে মেয়াদ উর্ত্তীণ হবার পরেও বীমা গ্রহীতারা পাচ্ছেন না তাদের জমানো টাকা।

এমনই সমস্যায় পড়েছেন বাগমারা এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান মৃধা যার পলিসি নং- ০৫২০০০১৫৩৩১ এবং কাকনহাট ললিত নগর এলাকার ফাতেমা খাতুন যার পলিসি নং- ০৬০০০৩২২৮৮। ভুক্তভোগী উভয়ের দশ বছর মেয়াদ দুই বছর পূর্বে শেষ হবার পরেও নিজেদের জমানো টাকা নিতে গেলে প্রতিবারই পড়েছেন বীমা কর্মকর্তাদের রোষানলে। এবিষয়ে রাজশাহী শাখার অপারেশন ইনচার্জ রবিউল আউয়াল বলেন, তাদেরকে টাকা দেয়া হবে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী শাখা থেকেই গ্রাহকদেরকে চেকের মাধ্যমে টাকা দেয়া হতো। কিন্তু নিয়ম পরিবর্তন হবার কারনে এখন প্রধান কার্যালয় থেকে গ্রাহকদের জমানো অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে।

বীমা গ্রহীতা ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান ও কাকন হাট ললিত নগর এলাকার ফাতেমা জানান, বীমার মেয়দা দশ বছর অতিক্রম হয়েছে ২০২০ সালে। মেয়দা শেষ হবার পর থেকে এখন অবদি নানারকম টালবাহানায় বীমা অফিস তাদেরকে ঘুরাচ্ছে। বীমা অফিস থেকে তাদের দুজনকেই একটি করে ফান্ড নাম্বার দেয়া হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমানের ফান্ড নাম্বার ৭৬৪৯ আর ফাতেমা বেগমের ফান্ড নাম্বার ২২৫৯০। ফান্ড নাম্বারের ক্রমানুসারে পরিশোধ করা হয় বীমা গ্রহীতাদের জমানো অর্থ। এবিষয়ে রাজশাহী কার্যালয়ের অপারেশন ইনচার্জ বলেন, মোস্তাফিজুর রহমানের ফান্ড নাম্বারের সিরিয়াল অনুযায়ী তিনি তার জমানো অর্থ পাবেন আগামী ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। কিন্তু এটা সম্ভাব্য একটি সময়। এর আগে কিংবা পরেও হতে পারে। অর্থ্যাৎ বীমা মেয়াদ শেষ হবার প্রায় তিন বছর পরে বীমা গ্রহীতা তার কষ্টার্জিত জমাতো অর্থ পেতে পারেন! এদিকে, কাকন হাটের ফাতেমা খাতুনের ফান্ড নাম্বার ২২৫৯০। বর্তমানে প্রধান কার্যালয় থেকে ২১০৫৯ নাম্বারের সিরিয়াল চলছে। সে অনুযায়ী এই ভুক্তভোগী আরো কয় বছর পর নিজের জমানো অর্থ হাতে পাবেন সেটির কোন হোদিস নেই।

বীমার প্রিমিয়ামের মেয়াদ শেষ হবার পরেও বীমা গ্রহীতা মেয়াদান্তে কেনো টাকা পায়না প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী কার্যালয় বলেন, এতে আমাদের কোন দোষ নেই। এটা প্রধান কার্যালয়ে বিষয়। বীমা গ্রহীতদের ফাইল ২০২১ সালের মার্চ মাসে লট করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। তখন থেকে আজ অবদি ফাইলগুলো সেখানে আটকে আছে। পূর্বের নিয়ম থাকলে আমরা রাজশাহী থেকেই গ্রাহকদেরকে চেকের মাধ্যমে তাদের অর্থ পরিশোধ করতাম। কিন্তু চেকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধে নানারকম ঝামেলা হওয়াতে এখন থেকে প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে স্বস্ব বীমা গ্রহীতার ব্যাংক হিসাব নম্বরে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হয়ে থাকে।

ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমানের মাসিক প্রিমিয়াম ছিল ১ হাজার টাকা। সেহিসেবে ২০২০ সালে মেয়াদ শেষে তার পাওনার পরিমাণ দাড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার। আর অন্যদিকে, ফাতেমা খাতুনের বাৎসরিক প্রিমিয়ামের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৭৭৯ টাকা। দশ বছর মেয়াদ শেষে তার পাওনার পরিমাণ দাড়িয়েছে ৮১ হাজার টাকা। মোস্তাফিজুর রহমান আর ফাতেমার মতো, খালেদ হাসান পলিসি নং- ০৬০০০১৬৯৭৩, শহিদুল ইসলাম পলিসি নং-০৬০০০২১৬৫১, মাহাবুবুল হক পলিসি নং- ০৬০০০২৩৫৯২, শফিকুল ইসলাম পলিসি নং-০৬০০০২৯৪৭৪, আইয়ুব আলী পলিসি নং- ০৬০০০২০৭০৩ এরাও পড়েছিলেন বীমা কোস্পানিটির গোলক ধাধায়। বীমা কোম্পানিটির অনিয়ম আর গ্রাহক হয়রানি নিয়ে ২০২০ সালে ‘রাজশাহীতে ফারইষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply