শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
সরকারি কর্মকর্তার কক্ষে সাংবাদিককে ‘হত্যাচেষ্টা’

সরকারি কর্মকর্তার কক্ষে সাংবাদিককে ‘হত্যাচেষ্টা’

সরকারি কর্মকর্তার কক্ষে সাংবাদিককে ‘হত্যাচেষ্টা’
সরকারি কর্মকর্তার কক্ষে সাংবাদিককে ‘হত্যাচেষ্টা’

অনলাইন ডেস্ক: দি বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার পাবনা প্রতিনিধি ও পাবনা প্রেস ক্লাবের সদস্য আব্দুল হামিদ খানকে (৫২) মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামে কথিত এক সাংবাদিককে আটক করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও পিস্তলের আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হন হামিদ খান। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টায় পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) কাজী আতিয়ুর রহমানের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আটক সাইফুল ইসলাম পাবনা পৌর এলাকার ছাতিয়ানী মহল্লার জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে। তিনি নিজেকে ‘ক্রাইম ফাইল’ নামে পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আসছেন।

সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খান ও অন্যান্য সহকর্মীরা জানান, সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) কাজী আতিয়ুর রহমানের দপ্তরে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় ঢাকায় বসবাসকারী ওই সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সাইফুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় ক্রাইম ফাইলের সাংবাদিক পরিচয়দানকারী কথিত সাংবাদিক সাইফুল ইসলামকে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশ্ন করেন- তিনি পাবনার সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খানকে চিনেন কিনা? এ সময় তারা কেউই কাউকে চিনেন না-এমন একটি বিষয় নিয়ে আব্দুল হামিদ খান ও সাইফুল ইসলামের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সাইফুল ইসলাম নিজ হেফাজতে থাকা লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে হামিদ খানের মাথায় ঠেকিয়ে ট্রিগার চাপেন। কিন্তু পিস্তল লক থাকায় গুলি বের হয় না। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় পিস্তল দিয়ে হামিদ খানের মাথায় কয়েকটি আঘাত করেন কথিত ওই সাংবাদিক। এ ঘটনায় হতবিহব্বল হয়ে পড়েন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় চিৎকার চেঁচামেচিতে অফিসের অন্যরা ছুটে এসে সাইফুলকে অস্ত্রসহ আটক করেন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। আহত আব্দুল হামিদ খানের সহকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রোকনুজ্জামান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কথিত সাংবাদিককে অস্ত্রসহ আটক করেছে। সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় এ ঘটনায় সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খান পাবনা থানায় মামলার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। একই সময় আটক কথিত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম থানার হাজতথানায় ছিলেন।

পাবনা থানার ওসি আমিনুর ইসলাম সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, আটক সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সাইফুল ইসলামের অস্ত্রটি ঢাকা থেকে লাইসেন্স করা। কিন্তু তিনি সেটি কী কারণে বহন ও কেন একজন সরকারি কর্মকর্তার কক্ষে প্রদর্শন করলেন- এসব বিষয়ে আইনগত দিক পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply