শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইট ভাটার প্রতারণায় ক্রেতারা

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইট ভাটার প্রতারণায় ক্রেতারা

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইট ভাটার প্রতারণায় ক্রেতারা
রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইট ভাটার প্রতারণায় ক্রেতারা

এসএম বিশাল: রাজশাহীর পুঠিয়ায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারী না থাকায় ভাটা মালিকদের কারসাজিতে ইট ক্রেতারা প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ ভাটা মালিকরা প্রতিবছর ইটের মূল্যে বৃদ্ধি করছে। অথচ তারা মানহীনের পাশাপাশি ইট পরিমাপে অনেক ছোট করছেন।
জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১৭টি ইটভাটা রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে প্রতিটি ইটের পরিমাপ দৈর্ঘ ১০ ইঞ্চি, প্রস্তু ৫ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৩ ইঞ্চি মাপে তৈরি করার বিধান রয়েছে। অথচ ভাটা মালিকরা নিয়মকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে তাদের ইচ্ছেমত ইট তৈরি করছে।
ইটভাটা গুলো ঘুরে দেখা গেছে কোনো ভাটার মালিক নিয়ম অনুসারে ইট তৈরি করছেন না। তারা প্রতিটি ইটের দৈঘ্য ১০ এর পরিবর্তে সাড়ে ৯ ইঞ্চি, প্রস্ত ৫ এর পরিবর্তে সাড়ে ৪ ইঞ্চি ও উচ্চতা তিনের পরিবর্তে পৌনে তিন ইঞ্চি করে তৈরি করছেন।
হোসেন আলী নামের একজন ইট তৈরির কারিগর বলেন, ভাটা মালিকরা ইটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে ফর্মার দু’দিকে আকারে একটু ছোট করছেন। তবে মালিকরা আমাদের যে ফর্মা দিচ্ছেন আমরা সে ভাবেই ইট তৈরি করছি। ফর্মার দু’প্রান্তে হাফ করে এক ইঞ্চি ছোট হলে এক হাজার ইট তৈরির মাটি দিয়ে প্রায় ৬০ পিস বেশি তৈরি হবে।
ভালুকগাছি এলাকার ইট ক্রেতা আসাদুল ইসলাম বলেন, ভাটা মালিকরা বর্তমানে ১নং ইটের দাম নিচ্ছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ তারা দিন দিন ইট আকারে অনেক ছোট করে আমাদের প্রতিটি ইটে ঠকাচ্ছেন। এই অবস্থা প্রায় সকল ইটভাটায়। এতে করে ভাটা মালিকরা সব সময় আমাদের সাথে প্রতারণা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভাটা মালিক বলেন, আমারা ভাটা মালিকদের একটি সমিতি রয়েছে। ভাটার কোনো সমস্যা ও পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তর দেখার দ্বায়িত্ব সমিতির। সে মোতাবেক প্রতিটি ভাটা থেকে মাসে মোটা অংকের একটি অর্থ সমিতিতে দিতে হয়। নিয়মিত টাকা না দিলে মাঝে মধ্যে আমাদের আইনী ঝামেলায় পড়তে হয়। এছাড়া উপজেলায় বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান গুলোতে আলাদা ভাবে আমরা চাঁদা দিয়ে থাকি।
এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা ইটভাটা সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দীন মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ পিএএ বলেন, পরিমাপ কম করে ইট তৈরির কোনো নিয়ম নেই। যারা এই কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে অব্যশই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অচিরেই ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মাঠে নামা হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply