আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হঠাৎ অসময়ে ভারত গজলডোবা ব্যারেজ খুলে দেওয়ায় পানি বেড়েছে তিস্তায়। তলিয়ে গেছে মরিচ-পেঁয়াজ, আলু, ভুট্টাসহ বিস্তীর্ণ চরের আবাদ। শুষ্ক মৌসুমে সামান্য পানি ধরে রাখতে না পারায় প্রশ্ন উঠেছে তিস্তা সেচ প্রকল্পের সক্ষমতা নিয়েই।

উজানে ভারত তাদের গজলডোবা ব্যারেজ খুলে দেওয়ায় আকস্মিক আসা পানি ধরে রাখতে পারছে না তিস্তা ব্যারেজ। গত ৩ দিন ধরে ব্যারেজের বেশকিছু গেট খুলে রাখায় ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের ফসল।

চরের কৃষকরা বলছেন, পানিতে ডুবে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলু, রসুন-পেঁয়াজ, ভূট্টাসহ উঠতি ফসল। চলতি বছর ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

আর এবার ভারত পানি দিচ্ছে ৩ হাজার কিউসেক। যার মাত্র ১১শ কিউসেক অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ পানি ব্যবহার হচ্ছে । ন্যূনতম পানি ধরে রাখতে না পারায় প্রকল্পের সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন নদী আন্দোলনের নেতা নজরুল ইসলাম হাক্কানী।

বর্ষার পানি ধরে রেখে শুষ্ক মৌসুমে ১ লাখ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য দেশের সবচে বড় এই সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯০ সালে।

মতিহার বার্তা / এম আর টি