শিরোনাম :
ফ্রিজ়ে রাখা দুধ গরম করলেই ছানা হয়ে যায়! ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নতুন ৫ খাবার গোপন করেছিলেন বিয়ে, প্রেমে পড়েছিলেন সহ-অভিনেত্রীর, বহুকামিতা নিয়ে প্রচারে থাকেন বলি নায়িকা ‘আল্লার কাছে পাঠিয়ে দেব’, ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্ডোগানের বার্তা রাশিয়ার পরে এ বার আইএসের হানা গৃহযুদ্ধ দীর্ণ সিরিয়ায়, বিস্ফোরণ, গুলিতে নিহত অন্তত ১১ রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্টারের বিরুদ্ধে মামলা করলো দুদক পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় মৃত ৬ বিশ্বসুন্দরীমঞ্চে এই প্রথম মুসলিমবিশ্বের প্রতিনিধি… দেখে নিন আপনি বুদ্ধিমান কী না! দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কাজে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
ইট না ব্লক ব্যবহার করলে আপনার বেশি লাভ হবে তা সম্পর্কে অনেকেরই বেশি ভালো ধারণা নেই।

ইট না ব্লক ব্যবহার করলে আপনার বেশি লাভ হবে তা সম্পর্কে অনেকেরই বেশি ভালো ধারণা নেই।

ইট না ব্লক ব্যবহার করলে আপনার বেশি লাভ হবে তা সম্পর্কে অনেকেরই বেশি ভালো ধারণা নেই।
ইট না ব্লক ব্যবহার করলে আপনার বেশি লাভ হবে তা সম্পর্কে অনেকেরই বেশি ভালো ধারণা নেই।

অনলাইন ডেস্ক : আমাদের প্রয়োজনীয় নানা নির্মাণ কাজে সাধারণত ইটকেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ইট না ব্লক ব্যবহার করলে আপনার বেশি লাভ হবে তা সম্পর্কে অনেকেরই বেশি ভালো ধারণা নেই। তাই আজ আপনাদের জানাবো নির্মাণকাজে কোনটি বেশি উপযুক্ত ইট না ব্লক।

সাধারণত কমবেশি সবাই আমরা ইট সম্পর্কে জানি। ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হয় উর্বর মাটিকে। যা মূলত আসে কৃষিজমি থেকে। এ কারণে ইট তৈরিতে অনেক কৃষিজমিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু তাই নয়। ইট তৈরির প্রসেস মোটেও পরিবেশবান্ধব নয়। যেখানে ইট তৈরি করা হয় সেখানকার আবহাওয়া একেবারেই চাষাবাদের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।

এছাড়া ইট ব্যবহার করে বাড়ি বা যে কোনো স্থাপত্য তৈরি করলে তার নির্মাণ ব্যয় পড়ে অনেকটাই বেশি। তাই এক্ষেত্রে আপনি বেছে নিতে পারেন কংক্রিটের ব্লককে।

বাজারে কংক্রিটের ব্লক সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। এগুলো হলো সলিড ব্লক, ইন্টারলকিং বা থার্মাল ব্লক এবং হলো ব্লক। ইটের সব অসুবিধার সমাধান দিচ্ছে এসব ব্লক। এছাড়াও আছে বাড়তি কিছু সুবিধা। তাই বিদেশের যে কোনো স্থাপত্য বা নির্মাণকাজে বেছে নেওয়া হয়ে থাকে ব্লককে।

আমাদের দেশে এখনও ব্লক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি মূলত দুটি কারণে। একটি হলো নির্মাণ কাজে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব আর অন্যটি হলো সঠিকভাবে ব্লক তৈরির জটিলতা। এ দুটি কারণে এত সুবিধা থাকার পরও বাংলাদেশের বাজারে এখনও ব্লক জায়গা দখল করতে পারেনি।

ব্লক তৈরি করতে সাধারণত সিমেন্ট, বালু ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ৪ মিমি পাথরের কণা বা ডাস্টের প্রয়োজন হয়। ম্যানুয়েল, মেকানিক্যাল বা হাইড্রোলিক মেশিন ব্যবহার করে এ ব্লক তৈরি করা যায়।

ব্লক সম্পর্কে অনেকেরই একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। সেটি হলো ব্লক হালকা হওয়ায় তা ভূমিকম্প রোধে ততটা কার্যকর হবে না। ইঞ্জিনিয়াররা মনে করেন ব্লকের মাঝে রড ব্যবহার করে সহজেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

এ বিষয়ে স্থপতি হাসান শাহরিয়ার নিলয় মনে করেন, ভূমিকম্পসহনীয়, গাঁথুনি ও প্লাস্টারে ব্লক ব্যবহারে খরচ কম। এছাড়া মূল্যসাশ্রয়ী ব্লক অধিকতর তাপ কুপরিবাহী। যা গরম ও শীতে ঘরকে করে তোলে অধিক আরামদায়ক ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।

ইটের তুলনায় ব্লকের ওজন কম ও সাইজে বড় হওয়ায় কম জনবল দিয়ে অতি দ্রুত সময়ে কাজ করা যায়। লবণাক্ততা না থাকার কারণে দেওয়ালের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নেই বললেই চলে।

আপনার বাড়ি তৈরি করতে বাজেট যদি কম থাকে তবে নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন ব্লককে। তবে খেয়াল রাখবেন কেনা ব্লকের রেশিও যেন সঠিক হয়।

বাড়ি তৈরির আগে এর সুনির্দিষ্ট নকশা তৈরি করে নিন যাতে বাড়ি তৈরির পর আবার সেই নকশা পরিবর্তন করতে না হয়। এই দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলেই আপনি কম বাজেটে স্থাপনার জন্য ব্লককে বেছে নিতে পারেন।

বাংলাদেশে ব্লকের সুবিধা সম্পর্কে সবাই অবগত হলে বাজারে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। জনগণ এর সুবিধা ভোগ করবে। কৃষিজমির পরিমাণ বাড়বে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হবে পরিবেশ সংরক্ষণও।

মতিহার বার্তা / এম আর টি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply