অনলাইন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেনকে একমাত্র আসামি করে ইসলামপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা।
মনির হোসেন উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে। আর ভুক্তভোগী ছাত্রী পার্শ্ববর্তী একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্নভাবে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলত। বসতবাড়িতেও মাঝেমধ্যে আসা-যাওয়া করত। ওই ছাত্রীকে মনির হোসেন কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে অ্যাসিড মারাসহ তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছিল মনির হোসেন।
গত ৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বসতবাড়ির আঙিনায় বের হন ওই শিক্ষার্থী। এ সময় ওঁত পেতে থাকা ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন ওই ছাত্রীর পরনের জামা-কাপড় ধরে টানা-হেঁচড়া করে। ছাত্রীর চিৎকারে ঘটনাস্থল থেকে মনির হোসেনকে ছাত্রীর মাসহ স্বজনরা আটকে ফেলেন। এ সময় ওই ছাত্রীর মায়ের বাম হাতে কামড় দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় মনির হোসেন।
এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার পর রাত সাড়ে ১১টায় বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য মনির হোসেনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মাহমুদুল হাসান মোড়ল বলেন, কলেজছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অপরাধে মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মনির হোসেনের মা বলেন, ‘গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে আমার ছেলের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। আমার ছেলে নির্দোষ। তবে শুনেছি, ওই মেয়ে মনির হোসেনকে ভালোবাসে। বিয়ে না করায় ডাহা মিথ্যা মামলা ঠুকে দিয়েছে।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেছেন, ‘প্রেম-ভালোবাসার কথা মিথ্যা। মনির হোসেন আমার মেয়েকে মাঝেমধ্যেই কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।’
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.