অনলাইন ডেস্ক: দখল, উচ্ছেদ, ফের দখল। এমন ইদুঁর-বিড়াল খেলা চলছে শীতলক্ষ্যাকে ঘিরে। ১০৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নদীটির তীর দখল করে আছে নদী খেকোদের একের পর এক স্থাপনা।ডকইয়ার্ড থেকে শুরু করে রয়েছে ভারি শিল্প কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে আছে ১১৮টি অবৈধ স্থাপনা।
এর মধ্যে ৫০টিরও বেশি রূপগঞ্জ অংশে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে বার বার সতর্ক করার পরও বিষয়টি গায়ে মাখছেন না দখলদাররা। তবে বিআইডাব্লিউটিএ বলছে, উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি ২ বছরের মধ্যে নদী দখল করে গড়ে উঠা বড় ডকইয়ার্ড আর শিল্প কারখানা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে বাধ্য করা হবে।
রূপগঞ্জের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জমিওয়ালারা কিছু দখল করেছে, আবার কিছু দখল করেছে কারখানার মালিকরা।অপর এক নারী বলেন, সরকারি আর বেসরকারি লোকজন সবাই দখল করেছে।
নদীর পাড়ে জমি লিজ দেয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, সরকারি লোকদের কাছেই জিজ্ঞাসা করেন। তারা কিভাবে এই জমি লিজ দিয়েছে।
নদীর ঢাল থেকে দেড় শ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা না রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও, সরেজমিনে শীতলক্ষ্যার রূপগঞ্জ অংশে পাওয়া যায় নদী তীর দখল করে থাকা অবৈধ ডকইয়ার্ড, পোশাক কারখানা, শিল্প আর প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এগুলো থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক ফেলা হচ্ছে নদীর পানিতে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর পরিচালক মো. মাসুদ কামাল বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ করেছি। তারপরও আরও কিছু আছে। সেগুলো আমরা আবার উচ্ছেদ করব।
বিআইডব্লিউটিএ বলছে, শীতলক্ষ্যা থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন তারা। আর নদী দূষণকারী শতাধিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া হয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কাছে।
শীতলক্ষ্যার তীরভূমি দখল করে থাকা ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান আর ডকইয়ার্ডগুলো আগামী ২ বছরের মধ্যে সরানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও দাবি সংস্থাটির।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার সদরঘাটের আশপাশে বেশকিছু ডকইয়ার্ড আছে। যেগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং নৌযান চলাচলের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
আমরা আশা করছি আগামী দুবছরের মধ্যে এসব সরিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিতে পারব।২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যায় ১ হাজার ১০০টি নদী সীমানা নির্ধারণী পিলার বসিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.