শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
যৌতুকের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

যৌতুকের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

যৌতুকের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
যৌতুকের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক: স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় হুমায়ূন কবির নামে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) কারাগারে পাঠিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে হুমায়ূন কবির আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (দ্বিতীয় আদালত) বেগম আফরিন আহমেদ হ্যাপী।

হুমায়ূন বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরহাট তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

গত ১১ এপ্রিল যৌতুক দাবির অভিযোগে এএসআই হুমায়ূনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল আলম সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিন আবেদন করেন হুমায়ূন কবির। এসময় বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৫ মে হুমায়ূনের সাথে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার তারু মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। গত ৭-৮ মাস আগে নিজের পদোন্নতির কথা বলে শ্বশুরের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন হুমায়ূন।

২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর হুমায়ূনের মোবাইলে অন্য এক মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি দেখে খাদিজা আক্তার তার মাকে বিষয়টি অবগত করেন। এ বিষয়ে খাদিজা জানতে চাইলে হুমায়ূন জানায়, ১০ লাখ টাকা না এনে দিলে মোবাইলে ছবির মেয়েটিকে তিনি বিয়ে করবেন।

পরে এ বিষয়টি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেল অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলে সেখান থেকে দুজনকে ডেকে এক বৈঠকের মাধ্যমে মিলিয়ে দেওয়া হয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, খাদিজার মা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়ের জামাইয়ের বাসায় বেড়াতে গেলে গত ৪ মার্চ হুমায়ূন তার শাশুড়ির কাছে নিজের পদোন্নতির কথা বলে পুনরায় ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা জানালে খাদিজার সঙ্গে সংসার করবেন না বলে জানিয়ে সেদিন বাসা থেকে বের হয়ে যান হুমায়ূন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পর আদালত হুমায়ূনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বৃহস্পতিবার হুমায়ূন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মতিহার বার্তা / এম আর টি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply