শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
জাল টাকার ব্যবসার সঙ্গে পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে রংপুরে

জাল টাকার ব্যবসার সঙ্গে পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে রংপুরে

জাল টাকার ব্যবসার সঙ্গে পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে রংপুরে
জাল টাকার ব্যবসার সঙ্গে পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে রংপুরে

অনলাইন ডেস্ক: রংপুরে জাল টাকার ব্যবসার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে মহানগরীর তাজহাট থানা পুলিশ। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের ট্রাফিক শাখায় কর্মরত এএসআই মো. আল আমিন। মামলার দায়েরের দীর্ঘ ৯ মাস পর মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, এএসআই আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকার ব্যবসা করে আসছিলেন। এর মধ্যে তার সঙ্গে পরিচয় হয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে নগরীর পশ্চিম মুলাটোল মহল্লার বাসিন্দা সোহান ও তার বন্ধু নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার ব্যবসায়ী হাজি রবিউল ইসলামের ছেলে জিসানের। গত ২১ সালের ৫ জুলাই ওই পুলিশ কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে সোহান ও জিসানকে নগরীর সোডাপীর এলাকায় একটি হোটেলে ডাকেন। সেখানে আলোচনার একপর্যায়ে আল আমিন তার পকেট থেকে ৫০০ টাকার দুইটি বান্ডিল বের করে তাদের জানান, তার কাছে জাল টাকা আছে। এসব টাকা চালাতে পারলে অর্ধেক তাদের দেওয়া হবে। এতে দুই বন্ধু সম্মত না হলে অনেকটা জোর করেই পাঁচটি নোট তাদের হাতে দিয়ে বলেন প্রাথমিকভাবে এগুলো চালাও।

বাধ্য হয়ে তারা নোটগুলো নিয়ে মিঠাপুকুরে যান। সেখান থেকে মোটর সাইকেলে ফেরার পথে দমদমা ব্রিজের কাছে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশির সময় তারা জাল টাকার নোটগুলোসহ ধরা পড়েন। এরপর তাদেরকে আটক করে তাজহাট থানা পুলিশ হাজতে নিয়ে আসে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনা খুলে বলেন। মোবাইল ফোনে থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আল আমিনের কথাও বলিয়ে দেন। পুরো বিষয়টি তাজহাট থানা পুলিশ জানার পরও আল আমিনের নাম না দিয়ে তাজহাট থানার এসআই আশাদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। মামলায় সোহান ও জিসানকে আসামি করা হয়। পরে ওই দুই বন্ধু ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতেও বিষয়টি খুলে বলেন।

এদিকে, ছেলে সোহানকে নির্যাতন ও এএসআই আল আমিন তাকে জাল টাকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ঘটনা তদন্ত করে সুবিচারের দাবিতে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য তরিকুল ইসলাম।

রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম সাংবাদিকদের বলেন, এএসআই আল আমিন জাল টাকার ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্তে তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

মতিহার বার্তা / এম আর টি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply