আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুলিশের উপর মহলে সেই ভিডিয়ো পৌঁছতে শশিভূষণকে সাসপেন্ড করা হয়। সহরসার পুলিশ সুপার লিপিকা সিংহ জানিয়েছেন, ভিডিয়োটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসডিপিও পদমর্যাদার আধিকারিক এই ঘটনার তদন্ত করবেন।ছেলের জামিনের জন্য পুলিশ আধিকারিকের কাছে গিয়েছিলেন এক মহিলা। অভিযোগ, তাঁকে দিয়ে থানার ভিতরেই গা টেপান সাব-ইনস্পেক্টর শশিভূষণ সিন্হা।
ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ওই পুলিশ আধিকারিককে তড়িঘড়ি সাসেপন্ড করা হয়েছে। ঘটনাটি বিহারের সহরসা জেলার নাওহাট্টা থানার।একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক পুলিশ আধিকারিক অর্ধনগ্ন হয়ে বসে আছেন।
এক মহিলা তাঁর গা টিপছেন। এবং অন্য এক মহিলা উল্টো দিকে একটি চেয়ারে বসে আছেন। সাব-ইনস্পেক্টর শশিভূষণ খালি গায়ে বসে মহিলার ছেলের জামিনের জন্য ফোনে কথা বলে যাচ্ছিলেন আইনজীবীর সঙ্গে। আইনজীবীকে তিনি বলছিলেন, “জামিনের জন্য ১০ হাজার টাকা পাঠাব।
সঙ্গে দুই মহিলাকে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং আধার কার্ড নিয়ে দেখা করতে বলব আপনার সঙ্গে।”শশিভূষণকে আরও বলতে শোনা যায়, মহিলা গরিব, ফলে ছেলের জামিনের জন্য টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। তাই তিনিই দশ হাজার টাকা দিয়ে দেবেন। ফোনে যখন তিনি কথা বলছিলেন, তখন ওই মহিলাকে দিয়েই তেল মালিশ করিয়ে গা টেপাচ্ছিলেন তিনি।
ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি।পুলিশের উপর মহলে সেই ভিডিয়ো পৌঁছতে শশিভূষণকে সাসপেন্ড করা হয়। সহরসার পুলিশ সুপার লিপিকা সিংহ জানিয়েছেন, ভিডিয়োটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসডিপিও পদমর্যাদার আধিকারিক এই ঘটনার তদন্ত করবেন।
মতিহার বার্তা / এম টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.