ফারহানা জেরিন: ত্বকের ধরন বুঝে যেমন যত্ন নেয়া জরুরি, চুলের ক্ষেত্রেও তাই। ভুলভাল উপায়ে যত্ন নিলে উপকারের বদলে ক্ষতিই বেশি হবে। ত্বক অনুসারে আমরা যেমন ফেসমাস্ক নির্বাচন করি, তেমনই আমাদের চুল অনুসারে হেয়ার মাস্ক নির্বাচন করা উচিত। হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের ফলে চুলের গোড়া হাইড্রেট থাকে। চুল উজ্জ্বল ও ঘন হয়। তবে চুলের যত্নের জন্য চুলের ধরন অনুযায়ী মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
শুষ্ক চুল: আপনার চুল যদি শুষ্ক হয়, তাহলে বুঝবেন যে আর্দ্রতার অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার চুলের জন্য হাইড্রেটিং হেয়ার মাস্ক উপযুক্ত। এতে চুলের পুষ্টি বাড়ার পাশাপাশি শুষ্কতা দূর হবে। হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের ফলে চুল দ্রুত বাড়ে। আপনি কন্ডিশনার এবং গ্লিসারিন যুক্ত মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
পাতলা চুল: পাতলা চুলের জন্য লাইট ওয়েট হাইড্রেটিং জোজোবা অয়েল উপযুক্ত। আপনার পাতলা চুল যদি বেশি শুষ্ক হয়, তবে আপনি হেয়ার কন্ডিশনার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। পাতলা চুলে পুষ্টি জোগাতে আপনি নারিকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
কোঁকড়ানো চুল: কোঁকড়ানো চুল সাধারণত ড্রাই হয়। এজন্য কোঁকড়ানো চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে একবার অন্তত হেয়ার মাস্ক লাগানো উচিত। এতে চুল উজ্জ্বল হয়।
তৈলাক্ত চুল: তৈলাক্ত চুলে আর্দ্রতার প্রয়োজন হয় না। এক্ষেত্রে আপনি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও চুলের গোড়ায় নারিকেল তেল লাগান এবং গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে নিঙড়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পরে, শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল ভালো থাকবে।
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.