অনলাইন ডেস্ক: ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজান বয়াতীর বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী ও সন্তানকে কুপিয়ে আহত করে এরশাদ নামে স্থানীয় এক সন্ত্রাসী। হাসপাতালে নেয়ার পথেই চেয়ারম্যানের শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান মিজান বয়াতী ঢাকায় অবস্থান করছেন। বাড়িতে ১০ বছরের শিশু সন্তান রাফসানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন স্ত্রী দিলজাহান রত্না (৩৫)। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ওই গ্রামের সানু মোল্লার ছেলে এরশাদ নামে বখাটে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও ছেলেকে এলাপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় চেয়ারম্যানের স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা আসলে এরশাদ পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা দুইজনকে উদ্ধার করে সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাফসানকে মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয়রা জানান, এরশাদ তার বউকে নির্যাতন করতো। সেই নিয়ে ঈদের পরে একাধিকবার শালিস হয়। শালীস করেছিলেন চেয়ারম্যান। গত কয়েক দিন আগে সেই বউয়ের সাথে এরশাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। শালিসের সিদ্ধান্ত পক্ষে না যাওয়াতে চেয়ারম্যানের উপর ক্ষুব্ধ ছিল এরশাদ। সেকারণেই এই হামলা বলে স্থানীয়দের ধারনা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা জানান, স্ত্রীর অবস্থা গুরতর। তাকে হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। পরে আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এদিকে চেয়ারম্যানের সন্তানের মৃত্যুর খবর গ্রামে গিয়ে পৌছোলে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা হামলাকারী এরশাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুড় করে।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.