শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
গণতন্ত্রের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন : সুপ্রিম কোর্ট বার

গণতন্ত্রের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন : সুপ্রিম কোর্ট বার

মতিহার বার্তা ডেস্ক : গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার স্বার্থে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি কামনা করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের বিদায়ী সভাপতি জয়নুল আবেদীন। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সমিতির বিদায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল আবেদীন বলেন, অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকারের সদিচ্ছা নেই। রাজনৈতিক মামলা দিয়ে তাকে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাকে দিন দিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোনো মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট জামিন দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে বার বার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়। আর অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের জন্য কাজ না করে সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করছেন।

অন্যদিকে প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, খালেদা জিয়া এবং তার পরিবার এই বিষয়ে কোনো আবেদন করেনি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও প্যারোলে মুক্তি দিতে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি শুধু গণমাধ্যমেই আমরা জেনেছি।

তিনি অভিযোগ করেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা থেকে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে এটা একটা কৌশল হতে পারে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।

বিদায়ী সভাপতি জয়নুল আবেদীন তার শেষ বক্তব্যে বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় দীর্ঘদিন জেলখানায় কারাবন্দি আছেন। তিনি দিন দিন শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে হচ্ছেন। তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনি পিজিতে চিকিৎসাধীন আছেন। তাই আজ বিদায় প্রক্কালে গণতন্ত্র, আইন এবং বিচার ও জনগণের স্বাধীনতার স্বার্থে খালেদা জিয়ার আশু মুক্তি কামনা করছি।

জয়নুল আবেদীন বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের কারণে বিচার বিভাগের ওপর আরও কঠিন হামলা এসেছে। তখন প্রধান বিচারপতিকে জোর করে দেশের বাইরে পাঠানো এবং পদত্যাগ করানোর মাধ্যমে সেই সময়কার হামলা সকলের মনে আছে। তবুও এত কিছুর মধ্যেও আইনজীবী সমিতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে এগিয়ে গিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি ড. মোঃ গোলাম রহমান ভূঁইয়া ও এম. গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, সহ-সম্পাদক কাজী জয়নুল আবেদীন ও মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, সদস্য মাহফুজ বিন ইউসুফ, সাইফুর আলম মাহমুদ, ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী, শাহানা পারভীন, শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া, মোঃ আহসান উল্লাহ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। আজ সোমবার দুপুর পৌণে একটার দিকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাসপাতালে পৌঁছায়।

এ উপলক্ষে হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাইরের লোকজনকে ভেতরে প্রবেশ করতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এর আগে আজ নাইকো মামলার শুনানি শেষে বের হয়ে এসে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতির কথা।

বেলা পৌণে ১২টার দিকে তিনি জানান, অসুস্থতার কারণে নাইকো মামলার শুনানিতে খালেদা জিয়াকে উপস্থিত করা যায়নি। কাস্টডি ওয়ারেন্টে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানানো হয়েছে। তাই চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পাঠানো হবে। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি এও জানান যে, নাইকো মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষ সময় প্রার্থনা করেছে। আদালত শুনানি শেষে আগামী ১০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। আমরা আশা করি খালেদা জিয়া এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে গত বছরের ৮ এপ্রিল থেকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দী আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কারাবন্দি খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তারা খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে আগ্রহী নয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তবে সরকার তাকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসার দেয়ার বিষয়ে বারবার বলে আসছে।

গত বছরের ৬ অক্টোবর চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেয়া হয় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। ৮ নভেম্বর তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। তবে বিএনপি অভিযোগ করে আসছে তাকে চিকিৎসা শেষ না করেই ফিরিয়ে নেয়া হয়। সুত্র: নয়া দিগন্ত

মতিহার বার্তা ডট কম ০৩ এপ্রিল ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply