শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
নওগাঁয় ছাত্রকে প্রস্রাব পান করালেন শিক্ষিকা!

নওগাঁয় ছাত্রকে প্রস্রাব পান করালেন শিক্ষিকা!

নওগাঁয় ছাত্রকে প্রস্রাব পান করালেন শিক্ষিকা!
নওগাঁয় ছাত্রকে প্রস্রাব পান করালেন শিক্ষিকা!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে মো. সাব্বির আহমেদ নামের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে জোর পূর্বক প্রসাব খাইয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দ্রুত ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৩১ মে) এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের মো. মাহবুব আলমের ছেলে সাব্বির আহমেদ ওই ইউনিয়নের চকচান্দিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এর কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়ের ছাদে উঠে ওই শিক্ষার্থী দুরন্তপনার ছলে প্রসাব করলে সহকারী শিক্ষিকা শাহানা বেগম ওই ছাত্রকে নির্যাতন করেন। এক পর্যায়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে একটি প্লাস্টিকের বোতলে পুনরায় প্রসাব করতে বলেন সাব্বিরকে। পরে সেই বোতলে থাকা প্রসাব জোরপূর্বক পান করাতে বাধ্য করেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা।

শিক্ষার্থীর মা সাবিনা আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে বিদ্যালয়ের ছাদে প্রসাব করার অপরাধে বেধড়ক মারধর করে তাকে সেই প্রসাব খাওয়ানো হয়েছে। আমার ছেলে অন্যায় করলে পরিবারের কাছে না জানিয়ে তাকে অন্যায় পন্থায় নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এরশাদ আলী জানান, ঘটনা জানতে পেরে আমি গিয়ে দেখি বোতলে প্রসাব হাতে ছাত্রটি দাঁড়িয়ে ছিল। প্রসাব খেয়েছে কি না আমি তা নিজ চোখে দেখিনি। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এবিষয়ে সাংবাদিকদের জবাবে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাহানা বেগম পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আজমল হোসেন জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক আমরা ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। খুব শিগগিরই উনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতিহার বার্তা/এমআরটি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply