স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বাস চাপায় পুলিশ কনস্টেবল মারুফ নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘাতক চালককে চট্টগ্রামের রাউজান এলাকা থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
রোববার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্রগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন ডাবুয়া জগন্নাথহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার চালক সুজন দে (৩৮) চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার ইয়াছিন নগর, পো-ফকির টিলা গ্রামের মৃত বিমল দে’র ছেলে।
রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ চট্টগ্রামের মুখপাত্র সিনিঃসহকারী পরিচালক মোঃ নূরুল আবছার
তিনি জানান, শুক্রবার (১৭ জুন) ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি বাজার এলাকায় বাস চাপায় মারুফুল ইসলাম নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হন। মারুফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত ছিলেন। তিনি ছুটি নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তার গ্রামের বাড়ী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এলাকায় আসার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। ঘটনার পরপরই বাসের চালক সুজন (৩৮) আত্মগোপন করে এবং হেলপার সাজ্জাদ হোসেনকে স্থানীয় জনগণ আটক করে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট সোপর্দ করে।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল মারুফের মা আসামীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানায় একটি মামলার দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৩, তাং-১৮ জুন।
ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর বাস ড্রাইভার সুজন দে (৩৮) ঘটনাস্থল হতে পলায়ন করে আত্মগোপন করে। এরপর বাস ড্রাইভারকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী চালায় র্যাব-৭, চট্রগ্রাম। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে ঘাতক বাস ড্রাইভার সুজন চট্রগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন ডাবুয়া জগন্নাথহাট বাজার এলাকায় আত্নগোপন করে আছে।
এমন তথ্যের (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী সুজন দে’কে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, শুক্রবার (১৭ জুন) বাস চালিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম আসার সময় মোটরসাইকেল আরোহী কনস্টেবল মারুফুল ইসলাম এর সাথে সংঘর্ষ হয় এবং এর ফলে মারুফ মৃত্যুবরণ করে। অতঃপর সে বর্ণিত বাস দ্রুত গতিতে চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন ডাবুয়া জগন্নাথহাট বাজার এলাকায় এসে আত্মগোপন করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.