আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুই তরুণীর এ হেন কাণ্ড দেখে চমকে যান পর্যটকরা। সবার চোখ তখন ওই দুই তরুণীর দিকে। কিন্তু তাঁদের কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই।
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের সামনে তখন পর্যটকদের সমাগম। অত ভিড়ের মাঝেও একে বারে খুল্লমখুল্লা ভাবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন দুই তরুণী।
তাঁদের পরনে ছিল লাল রঙের বিকিনি। দুই তরুণীর এ হেন কাণ্ড দেখে চমকে যান পর্যটকরা। সবার চোখ তখন ওই দুই তরুণীর দিকে। কিন্তু তাঁদের কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই।
কিন্তু বেশি ক্ষণ বিকিনি পরে আইফেল টাওয়ারের সামনে নানা ভঙ্গিমায় ছবি তুলতে পারেননি ওই দুই তরুণী। কিছু ক্ষণ পরই বিষয়টি নজরে আসতেই সেখানে ছুটে যায় পুলিশের একটি দল। তার পরই ওই দুই তরুণীকে পোশাক পরতে বলেন। সেই মতো তাঁরা ব্লেজার পরেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের লাল লঙের বিকিনি লোকচক্ষুর আড়াল হয়নি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই দুই তরুণী ব্রাজিলের। তাঁদের এক জনের নাম গ্যাব্রিয়েল ভার্সিয়ানি ও অপর জন গ্যাবিলি। সে দেশে ইনস্টাগ্রামে তাঁরা বেশ জনপ্রিয়। তবে আইফেল টাওয়ারে সামনে বিকিনি পরে ফটোশুটের নেপথ্যে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে।
জানা গিয়েছে, তাঁদের বিকিনির ব্যবসা রয়েছে। আর সে কারণেই এমন ভাবে ছবি তুলছিলেন। ওই দুই তরুণীর যিনি ছবি তুলছিলেন, তাঁকেও বিকিনি পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। পুলিশের চোখরাঙানিতে পরে তিনিও ব্লেজার পরেন।
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তরুণীরা। তাঁদের মধ্যে এক জন বলেছেন, ‘‘আমরা আর একটু হলেই গ্রেফতার হয়ে যাচ্ছিলাম। আমরা বিকিনির বিজ্ঞাপনের জন্য ছবি তুলছিলাম। কিন্তু পুলিশ বলল যে দর্শনীয় স্থানে নাকি অর্ধনগ্ন হয়ে ছবি তোলা যাবে না।’’ তরুণীদের এই কাণ্ডে সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ বলেছেন, ওই তরুণীরা সীমা লঙ্ঘন করেছেন। আবার কেউ বলেছেন, তাঁরা লাজলজ্জার মাথা খেয়েছেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.