অনলাইন ডেস্ক: ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল ইউক্রেন। কমিশনের সেই রিপোর্ট বলছে, রুশ সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এ বিষয়ে সবই জানতেন। তাঁরা এমন কাজ করার জন্য উৎসাহও পেতেন।
ইউক্রেনে রুশ অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে পুতিনের সেনা, এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল ইউক্রেন। কমিশনের সেই রিপোর্ট বলছে, রুশ সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি বড় অংশ এ বিষয়ে সবই জানতেন। কিন্তু তাঁরা এমন কাজ করার জন্য উৎসাহ দিতেন সেনার অন্য সদস্যদের।
বিশ্বের বহু যুদ্ধেই আক্রমণের সহজ নিশানা হয়েছে নারী এবং শিশুরা। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও মূলত রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের মহিলাদের ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। যুদ্ধাপরাধের এই অভিযোগের তদন্তে নামে ইউক্রেন প্রশাসন। এ ব্যাপারে সাহায্য নেওয়া হয় প্রখ্যাত ব্রিটিশ আইনজীবী ওয়েন জরদাসের।
জরদাস জানান, ইউক্রেনের রাজধানী কিভ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় রুশ সেনার এক বড় অংশ যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন ইউক্রেনের মহিলাদের উপর। শুধু তা-ই নয়, তাঁর দাবি, সেনার উপরমহল থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সংগঠিত ভাবে এই কাজ করে যাওয়ার জন্য। ইউক্রেনের যে সব জায়গা দীর্ঘ দিন ধরে রুশ সেনাবাহিনীর অধিকৃত ছিল, সে সব জায়গাতেই বেশি করে এই ধরনের অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তদন্ত রিপোর্টে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.