শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
বাজারে এল ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ’, এক ডোজের দাম ২৮ কোটি টাকা!

বাজারে এল ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ’, এক ডোজের দাম ২৮ কোটি টাকা!

বাজারে এল ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ’, এক ডোজের দাম ২৮ কোটি টাকা!
বাজারে এল ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ’, এক ডোজের দাম ২৮ কোটি টাকা!

মিজানুর রহমান টনি: আমেরিকার ওষুধ নিয়ামক সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ হেমজেনিক্স নামের একটি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে। ‘হিমোফিলিয়া বি’-র এই ওষুধটির একটি ডোজের দাম পঁয়ত্রিশ লক্ষ মার্কিন ডলার।

বাজারে এল ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ’। চলতি সপ্তাহেই আমেরিকার ওষুধ নিয়ামক সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) হেমজেনিক্স নামের একটি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে। এটি ‘হিমোফিলিয়া বি’ রোগের ওষুধ। ওষুধটির একটি ডোজের দাম পঁয়ত্রিশ লক্ষ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা আঠাশ কোটি টাকারও বেশি।

প্রস্তুতকারী সংস্থা সিএসএল বেহরিং-এর দাবি, এককালীন এই ওষুধটি জিনগত ভাবে হিমোফিলিয়া বি রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তাই ‘বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওষুধ’ হলেও সামগ্রিক ভাবে চিকিৎসার খরচ অনেকটাই কমবে।

হিমোফিলিয়া এমন একটি রোগ, যাতে রোগীর রক্ততঞ্চনে সমস্যা হয়। অর্থাৎ, দেহের কোনও স্থানে রক্তপাত শুরু হলে আর রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। মানুষের দেহে ফ্যাক্টর নাইন নামের একটি বিশেষ উপাদানের ঘাটতি হলে এমন ঘটে। এত দিন পর্যন্ত রক্তের মাধ্যমে বাইরে থেকে এই প্রোটিনটি সরবরাহ করা হয়।

সেই চিকিৎসাও যথেষ্ট ব্যয়বহুল। হিমোফিলিয়া বি আরও বিরল। মোট হিমোফিলিয়া রোগীর মধ্যে ১৫ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। এফফিএ-এর হিসাবে প্রতি চল্লিশ হাজার জন পিছু এক জন এই রোগে আক্রান্ত হন। মহিলাদের থেকে পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি, নতুন এই ওষুধটি চিকিৎসাশাস্ত্রের দিক থেকে যুগান্তকারী। এই ওষুধের মাধ্যমে রোগীর লিভারে একটি বিশেষ জিন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আর তার পর থেকে দেহেই রক্ততঞ্চনকারী প্রোটিন উৎপন্ন হয়। ফলে চিকিৎসার পৌনঃপুনিক ব্যয় খুবই কমে আসে। ফলে দাম আকাশছোঁয়া হলেও ওষুধটি চিকিৎসার সামগ্রিক খরচ কমাতে এবং রোগীদের জীবন বাঁচাতে কাজে লাগাতে পারে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply