শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
আল্লাহ যেসব মানুষকে ক্ষমা করেন

আল্লাহ যেসব মানুষকে ক্ষমা করেন

আল্লাহ যেসব মানুষকে ক্ষমা করেন
ফাইল ফটো

ধর্ম ডেস্ক: মানুষ আল্লাহর সেরা সৃষ্টি। শুধু সেরা সৃষ্টিই নয় বরং সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টি হলো মানুষ। আল্লাহ মানবজাতিকে অনেক ভালোবেসে তার দাসত্ব বা গোলামী করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আবার মানুষ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন-

‘সময়ের কসম! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। ওই সব লোক ব্যতিত যারা ঈমান গ্রহণ করেছে এবং নেক আমল করেছে।’ (সুরা আছর : আয়াত ১-২)

মানুষের ক্ষতির মধ্যে থাকার মানে-ই হচ্ছে তাঁর অবাধ্যতায় লিপ্ত থাকা। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলছেন, আল্লাহ ওই সব মানুষ দেখতে চান; যারা গোনাহ করে আবার ক্ষমা চায়। অন্যায় করার পর তাঁর কাছে ফিরে আসার আকুতি জানায়। আল্লাহ তাআলা ওই সব ক্ষমাপ্রার্থনাকারী মানুষদের ক্ষমা করে দেন।

মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। প্রতিনিয়ত তার কোনো না কোনো গোনাহ হয়ে থাকে। মানুষের পাহাড়সম গোনাহ হয়ে গেলেও ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। তার দোষত্রুটি গোপন রেখে তাকে করেন নিরাপদ।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

‘সে সত্ত্বার শপথ! যার হাতে আমার জীবন। যদি তোমরা গোনাহ না কর; তবে আল্লাহ তোমাদেরকে নিয়ে যাবেন এবং এমন এক সম্প্রদায় নিয়ে আসবেন, যারা গোনাহ করবে এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করবে। অতপর আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন।’ (মুসলিম)

মানুষ যখনই কোনো অন্যায় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন দেন মর্মে ঘোষণা করেন-

‘আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের প্রতি জুলুম করবে এরপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, সে আল্লাহকে পাবে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১১০)

কুরআন ও হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা আল্লাহর কাছে অনেক পছন্দনীয় ইবাদত। তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর কাছে বারবার মুখাপেক্ষী হয়। আর বান্দার মুখাপেক্ষীতা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ তাঁর নৈকট্য অর্জনে বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। তাওবা ও ইসতেগফারের মাধ্যমে তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply