শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
চারঘাটে মাদক সম্রাটরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে

চারঘাটে মাদক সম্রাটরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে

চারঘাটে মাদক সম্রাটরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে
চারঘাটে মাদক সম্রাটরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে

মিজানুর রহমান টনি: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ধরা ছোঁয়ার বাইরেই শীর্ষ মাদক সম্রাটরা। বর্তমানে এলাকায় সক্রিয় মাদক কারবারিরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদক কারবার করছে। সক্রিয় এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে হামলা, মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়।

এদিকে চারঘাটের শীর্ষ মাদক সম্রাট মাদক সিন্ডিকেট র্দীঘদিন যাবত নিয়ন্ত্রন করছে চকমুক্তারপুর, মুক্তারপুর, অন্ধারীপাড়া, শ্রীখন্ডী (পশ্চিম পাড়া), ইউসুফপুর এলাকায়। দীর্ঘদিন প্রশাসনের হাতে এলাকার মাদক কারবারিরা গ্রেপ্তার না হওয়ার কারনে বর্তমানে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এ মাদক কারবার সিন্ডিকেট। তবে বর্তমানে ভারত থেকে ফেনসিডিল পাচার করে আনার সময় এক মাদক ব্যবসায়ীর মাদক আরেক মাদক ব্যবসায়ী ছিনতাই করে নেয়াকে কেন্দ্র করে মাদক সম্রাটদের মধ্যে চলছে চড়ম উত্তেজনা বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন ভয়ংঙ্কর তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চারঘাটের শীর্ষ মাদক সম্রাটরা চকমুক্তারপুর ও ইউসুবপুর এলাকায় গড়ে তুলেছে শক্তিশালি সিন্ডিকেট । এসব সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে থাকে বড় মাপের কিছু ক্ষমতাধর নেতারা। এর মধ্যে বর্তমানে মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হিসাবে অন্যতম মুক্তারপুর এলাকার সালামের ছেলে জরিপ, রেন্টুর ভাগ্নে ধুম রবি, মুক্তাপুর এলাকার মৃত রহিমের ছেলে ওলি, বাক্কারের ছেলে হালি মাসুদ, মুক্তারপুর আন্ধারিপাড়ার হাবিবের ছেলে সোহান, চকমুক্তারপুর এলাকার সরকার পাড়ার শ্রী হিরেন মন্ডলের ছেলে শ্রী রনজয় কুমার মন্ডল, ইউসুবপুর এলাকার জামান উদ্দিনের ছেলে আশিকুজ্জামান, চকমুক্তারপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে শাকিল, চকমুক্তারপুর রাজ্জাকের ছেলে সোহাগ, নেয়ামুতের ছেলে ডাকু, সাবাসের ছেলে আশিক। এছাড়া ইউসুফপুরের শরিফ মেম্বারের ছেলে আরিফ ও আগুন মিলে গড়ে তুলেছে আরেক মাদক সিন্ডিকেট। এছাড়াও আরো পুলিশের তালিকা ভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে চারঘাট মুক্তারপুর ও ইউসুবপুর এলাকায়। বর্তমানে মাদক ব্যবসা নিয়ে মুক্তারপুর ও ইউসুবপুর এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলছে চড়ম উত্তেজনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকমুক্তারপুর ও ইউসুফপুরের মাদক সিন্ডিকেটের মধ্যে চলছে চড়ম উত্তেজনা। এক পক্ষ আরেক পক্ষের মাদক ছিনতাই করছে পদ্মা নদীর মাঝে। আর এসব নিয়ে চলছে এক পক্ষ আরেক পক্ষ কে ফাঁসানোর চেস্টা। এসব মাদক সিন্ডকেটের সদস্যরা নিজেদের পদ্মা নদীতে মাছ ধরার নাম করে ভারতে গিয়ে ফেনসিডিলের বড় বড় চালান আনে । পরে সেই মাদক মুক্তারপুর, চকপাড়া, ইউসুফপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আরো ১০ থেকে ১৫ জন সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে বিতরণ ও বিক্রি করায়। বর্তমানে ভারত থেকে মাদক ফেনসিডিল পাচার করার সময় একজন আরেক জনের ফেনসিডিল ছিনতাই করে নেয়া কে কেন্দ্র করে চড়ম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দন্ড বাধার সংঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

আরো জানা গেছে, সাম্প্রতিক গত ২৯ জানূয়ারী ভারত থেকে রঞ্জয় ও আশিক ২৫০ পিচ ফেনসিডিল এনে আশিকের বাড়িতে রাখে। পরে সেই ফেনসিডিল হারিয়ে যায়। এনিয়েও এলাকার মানুষকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার শুরু করে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এ ঘটনায় সন্ধেহ করে এলাকার সোহাগ ও জনিকে মারপিট করে নির্যাতন করে।

পরে এ ঘটনায় চারঘাট থানায় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারেনি সোহাগ ও জনি। কিছু দিন আগে ভারতে যায় আশিক, রঞ্জয়, শাকিল। ভারতের লোক টাকা পাওয়ার কারনে তাদের মারপিট করে আটকে রাখে তাদের। সে খান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে আশিক, রঞ্জয় ও শাকিল। ওই ঘটনার ভারতের এক জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে আনে তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে ইউসুফপুর বিওপি ক্যাম্প অভিযান চালিয়ে ভারতের ওই জেলেকে উদ্ধার করে বিএসএফ এর কাছে হস্তান্তর করে। ওই ঘটনা কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইউসুফপুরের পাঞ্জাতনকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় তারা।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিডিয়া মুখপাত্র বলেন, প্রতিদিন মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত রয়েছে। চারঘাট থানা এলাকা ভারত সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ার কারনে সেই এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। তবে প্রতিদিন ওই এলাকায় চারঘাট থানা, জেলা ডিবি মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে থাকে। অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যে সব মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকায় অবস্থান করছে তাদের দ্রুত অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply