শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে নাটোরের লালপুর উপজেলা

গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে নাটোরের লালপুর উপজেলা

গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে নাটোরের লালপুর উপজেলা
গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে নাটোরের লালপুর উপজেলা

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুর উপজেলা ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে।

সোমবার (২০ মার্চ ২০২৩) উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউএনও বলেন, আগামীকাল ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ৬২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির দলিলসহ বাড়ির চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসাহাক আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনি, উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাহবুবউল হক, প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমানসহ বিভিন্ন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ।

ইউএনও শামীমা সুলতানা বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির যৌথ সভায় চারটি ধাপে আবাসনের মাধ্যমে ভূমিহীন (ক শ্রেণি) ও গৃহহীন পরিবার মুক্ত উপজেলা ঘোষনার প্রস্তাব করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত দেশ গঠনে উপজেলা প্রশাসন খাস জমি উদ্ধার এবং বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী দুই শতাংশ জমির ওপরে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে প্রতিটি গৃহ নির্মাণ করেছে। পুনর্বাসিত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণসহ কর্মসহায়ক উপকরণ প্রদান করা হচ্ছে।

দেশব্যাপি ভূমিহীন ও গৃহহীন (ক শ্রেণির) পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষে ২০১৯ সাল থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। উপজেলায় প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের ১১.৫ একর খাস জমি উদ্ধার করে প্রতিটি পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর; সাথে বিদ্যুৎ সংযোগসহ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ৪২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০টি, ৩য় পর্যায়ের ১৪২টি, চতুর্থ পর্যায়ে ১৫৫ টি পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন। এছাড়া পদ্মার চরের রসুলপুর মৌজার ৯ দশমিক ৫০ একর খাস জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত রসুলপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৮টি ব্যারাকে ২৪০টিসহ উপজেলায় ৬২৯টি ভূমিহীন পরিবারের আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ঘর প্রদান প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণ ও গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে ঘর প্রতি বরাদ্দ ছিল-১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা, ৩য় পর্যায়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা ও চতুর্থ পর্যায়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের কার্যক্রম আরও টেকসই ও মজবুত করার জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply