শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
শেষ মুহূর্তে রমজানের প্রস্তুতিতে যা করবেন

শেষ মুহূর্তে রমজানের প্রস্তুতিতে যা করবেন

শেষ মুহূর্তে রমজানের প্রস্তুতিতে যা করবেন
শেষ মুহূর্তে রমজানের প্রস্তুতিতে যা করবেন

মিজানুর রহমান টনি: দরজায় কড়া নাড়ছে মহিমান্বিত মাস রমজান। এখনো যারা রমজানের জন্য প্রস্তুত হতে পারেনি, তাদের উচিত আজই প্রস্তুতি গ্রহণ করা। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের দুই মাস আগে থেকেই রমজান লাভের দোয়া করতেন—‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ১৩৬৯)

নিঃসন্দেহে এই দোয়া ছিল রমজানের জন্য নবীজি (সা.)-এর মানসিক প্রস্তুতি। আর হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী মুমিন রজব মাস থেকে রজমানের প্রস্তুতি শুরু করবে। তবে যারা এখনো রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতে পারেনি, তারা শাবান মাসে প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। আর শাবান মাস এখন বিদায় নেওয়ার পথে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রমজান ও রজবের মধ্যবর্তী এ মাসের ব্যাপারে মানুষ উদাসীন থাকে। এটা এমন মাস, যে মাসে বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। আমি চাই, আল্লাহর কাছে আমার আমল এমন অবস্থায় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৩৫৭)

প্রস্তুতিমূলক পাঁচ কাজ

মহানবী (সা.)-এর জীবন থেকে রমজানের প্রস্তুতিমূলক তিনটি কাজের নির্দেশনা পাওয়া যায়। তা হলো—

১. দোয়া করা : নবীজি (সা.) রজব মাসের শুরু থেকে দোয়া করতেন—‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ১৩৬৯)

২. চাঁদের হিসাব রাখা : আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের খুব হিসাব করতেন। এ ছাড়া অন্য কোনো মাসের এত হিসাব করতেন না। এরপর রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন। আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাস ৩০ দিনে গণনা করতেন, অতঃপর রোজা রাখতেন।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৩২৫)

৩. রোজা রাখার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া : শাবান মাসে মহানবী (সা.) অধিক পরিমাণ রোজা রাখতেন। তবে এ মাসের শেষে এক-দুই দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। নবীজি (সা.) রমজানের এক বা দুই দিন আগে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮১৫)

৪. তাওবা করা : রমজান মাসকে ফলপ্রসূ করতে তাওবা করে পাপমুক্ত হওয়া আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তাওবা কোরো যেন তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা নুর, আয়াত : ৩১)

৫. ইবাদতের জন্য অবসর বের করা : রমজান ইবাদতের মাস। তাই রমজানের আগেই যদি পারিবারিক, ব্যাবসায়িক ও পেশাগত কাজগুলো গুছিয়ে রাখা যায়, তবে রমজানে অধিক সময় ইবাদতে মগ্ন থাকা যাবে। রমজানের আগে যে সামান্য সময়টুকু আছে তা কাজে লাগিয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারলে আশা করা যায় আল্লাহ হয়তো রমজান মাসে অধিক আমল করার তাওফিক দেবেন। কেননা তিনি বলেছেন, ‘যারা আমার উদ্দেশে চেষ্টা-সংগ্রাম করে, আমি তাদের অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ৬৯)

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply