শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহী নগরীর কাজলা ফুলতলার পদ্মায় প্রকাশ্যে বালু ডাকাতির অভিযোগ, ইজারাদারের বিরুদ্ধে

রাজশাহী নগরীর কাজলা ফুলতলার পদ্মায় প্রকাশ্যে বালু ডাকাতির অভিযোগ, ইজারাদারের বিরুদ্ধে

রাজশাহী নগরীর কাজলা ফুলতলার পদ্মায় প্রকাশ্যে বালু ডাকাতির অভিযোগ, ইজারাদারের বিরুদ্ধে
রাজশাহী নগরীর কাজলা ফুলতলার পদ্মায় প্রকাশ্যে বালু ডাকাতির অভিযোগ, ইজারাদারের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর চরশ্যামপুর ও দিয়াড়খিদিরপুর মৌজার বালুমহালটি বাংলা চলতি ১৪৩০ সালের জন্য ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বালু মহালটি ইজারা নিয়েছেন মেসার্স জাহাঙ্গীর ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী মোঃ জনি ইসলাম। তবে ইজারা গ্রহণের পর থেকেই ইজারাদার তার লোকজন দিয়ে ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে ড্রেজিং করে অব্যাহত বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ইজারা দরপত্রে মোট ১৫টি শর্তাবলী রয়েছে। এরমধ্যে ১৩ নং শর্তাবলীতে উল্লেখ রয়েছে- ইজারা গ্রহণকৃত এলাকা ব্যতীত অন্য কোনও এলাকা হতে ইজারাদার বালু উত্তোলন করতে পারবেন না। অথচ এই শর্তাবলী লংঘন করে ইজারাদার ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, চরশ্যামপুর ও দিয়াড়খিদিরপুর মৌজার বালুমহালটি ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইজারাদার ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে তার লোকজন দিয়ে ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। তারা নগরীর মতিহার থানার কাজলা ফুলতলা সংলগ্ন চরসহ ইজারা বহির্ভূত আরো কিছু এলাকা থেকে ডেজিং করে বালু উত্তোলন করছেন। এরপাশেই রয়েছে মধ্যচর নামে পরিচিত একটি এলাকা। এই মধ্যচরে বসবাস করছেন নদী ভাঙ্গনের শিকার লোকজন। তারা নিম্নবিত্ত ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তাই ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে বালু উত্তোলনের ফলে মধ্যচরের সাধারণ বাসিন্দারা ঝুঁকির মুখে পড়বেন। ইজারাদার ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত ও প্রভাবশালী হওয়ায় এ নিয়ে ভয়ে কেউই কথা বলতে পারেন না।

জানতে চাইলে ইজারাদার মেসার্স জাহাঙ্গীর ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী মোঃ জনি ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্ধারিত এলাকার মধ্যেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই বালুমহালের কোনও হাইড্রোলিক জরিপ নেই। এছাড়া নৌবন্দর না থাকার কারণে এর হাইড্রোলিক জরিপের প্রয়োজন নেই বলেও প্রশাসনের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন। তিনি আরও বলেন, নদীর পানি বাড়লে নির্ধারিত স্থান থেকে বালু উত্তোলন করবো।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply