ফারহানা জেরিন: গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজে কলার খোসা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। দেখে নিন কলার খোসাকে আরও কী কী ভাবে কাজে লাগাতে পারেন।
কাঁচা হোক বা পাকা, দুই অবস্থাতেই কলা আমাদের শরীরের জন্য বেশ পুষ্টিকর। কলা এমন একটি ফল, যা পেট ভরায়, পুষ্টিগুণ জোগায়, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। কিন্তু জানেন কি, কেবল কলা নয়, কলার খোসারও নানা গুণাবলি রয়েছে। গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজে কলার খোসা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
দেখে নিন কলার খোসাকে আরও কী কী ভাবে কাজে লাগাতে পারেন। পাকা হোক বা কাঁচা, দুই অবস্থাতেই কলা আমাদের খাদ্যতালিকার অন্যতম উপাদান। কলা খাওয়ার উপকারিতা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। কলা এমন একটি ফল, যা পেট ভরায়, পুষ্টিগুণ জোগায়, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।
কিন্তু জানেন কি, শুধু কলা নয়, কলার খোসারও নানা গুণাবলি রয়েছে। গৃহস্থালির কাজ থেকে শুরু করে শরীরচর্চা— এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
দেখে নিন কলার খোসাকে আরও কী কী ভাবে কাজে লাগাতে পারেন।
১) গরমের মরসুমে ত্বকের সমস্যায় জর্জরিত? কলার খোসা বেটে তার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। মুখের কালো দাগ বা বলিরেখা দূর হবে সহজে। ত্বককে মসৃণ করতেও কলার খোসা অত্যন্ত দরকারি। শুষ্ক ত্বকে কলার খোসার ভিতরের অংশ লাগিয়ে রাখুন। কিছু ক্ষণ পর শুকিয়ে এলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মোলায়েম হবে, ত্বকের জেল্লাও বাড়বে।
২) কলার খোসায় থাকা পটাশিয়াম ও সোডিয়াম খুব ভাল বায়োডিগ্রেডেবল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। তাই বাগানে ফুল গাছে সার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা।
৩) দাঁতের হলুদ ছোপ পড়েছে? এ ক্ষেত্রেও কাজে আসতে পারে কলার খোসা। প্রতি দিন সকালে কলার খোসার ভিতরের অংশ দাঁতে ঘষুন কিছু ক্ষণের জন্য। তার পর টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। এই পন্থা মেনে চললে সপ্তাহ খানেকেই দাঁতের ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাবেন।
৪) চামড়ার জুতো হোক বা ফোমের, পালিশ করতেই হয়। সময় না থাকলে কলার খোসা ঘষে নিন। চকচকে হয়ে যাবে।
৫) কাঁচা কলার খোসা ফেলে না দিয়ে কুচিয়ে ভাপিয়ে নিন। তেলে সামান্য কালো জিরে দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে রান্না করে ফেলুন চমৎকার ভর্তা। এর সঙ্গে কুচো মাছ বা ছোট চিংড়িও যোগ করতে পারেন, তা হলে তো কথাই নেই।।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.