আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০১৯ সালের কোভিড অতিমারীর আগেই ২০১৮ সালে ‘ডিজ়িজ় এক্স’ নামের মারণ রোগ নিয়ে সতর্ক করেছিল ‘হু’।
কোভিড শুধু ঝলক মাত্র, আরও মারাত্মক বিপর্যকারী অতিমারির জন্য সতর্কতা জারি করল পশ্চিমী বিশ্ব। আগাম প্রস্তুতি নিয়ে তৈরি হচ্ছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ‘ডিজ়িজ় এক্স’ স্প্যানিশ ফ্লুয়ের থেকেও বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। ওয়ার্ল্ডমিটার অনুযায়ী কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৯ লক্ষ ২০ হাজার ৩৩৭ জনের। কোভিড সংক্রমণের নিরিখে গোটা বিশ্বে ভারত দ্বিতীয়, প্রথম স্থানে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। আশঙ্কা, কোভিডের থেকে ২০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী হতে পারে ‘ডিজ়িজ় এক্স’। যার প্রতিকার হিসাবে এখন থেকেই ভ্যাকসিন তৈরি করে মজুত রাখার কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ব্রিটেনের প্রাক্তন ভ্যাকসিন টাস্কফোর্স অধিকর্তা কেট বিংহাম ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘‘উনিশ শতকে ফ্লু গোটা বিশ্বে ৫ কোটিরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছিল। সংখ্যার নিরিখে যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মৃত্যুর চেয়ে দ্বিগুণ। ‘ডিজ়িজ় এক্স’ একই রকম সর্বনাশা হতে পারে।’’ তাঁর পরামর্শ, এই মারণ রোগ থেকে বাঁচতে এখন থেকেই গণ টিকাকরণ এবং সঠিক সময়ে ডোজ় দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। কেট বিংহাম আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত ২৫ রকমের ভাইরাস চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে এদের আরও এক লক্ষ উপজাতি থাকতে পারে, যা এখনও পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত। তাঁর দাবি, ‘ডিজ়িজ় এক্স’ কোভিডের মতো একজনের দেহ থেকে দ্রুত অন্যজনের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
‘ডিজিজ এক্স’ কী ধরনের হতে পারে?
প্রথমত. এই রোগ প্রতিরোধের কোনও ক্ষমতা মানবদেহে থাকবে না
দ্বিতীয়ত. বায়ুবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল
তৃতীয়ত. কোনও উপসর্গই থাকবে না, অথচ সংক্রমণ বাড়তে থাকবে
চতুর্থত. এমন কোনও প্রতিষেধক থাকবে না, যা এই রোগের প্রতিকার করতে সক্ষম হবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.