দু’বার যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, এখন ফল ভুগছেন সেলিনা! কেন অস্ত্রোপচার হল অভিনেত্রীর?

দু’বার যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, এখন ফল ভুগছেন সেলিনা! কেন অস্ত্রোপচার হল অভিনেত্রীর?

দু’বার যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, এখন ফল ভুগছেন সেলিনা! কেন অস্ত্রোপচার হল অভিনেত্রীর?
দু’বার যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, এখন ফল ভুগছেন সেলিনা! কেন অস্ত্রোপচার হল অভিনেত্রীর?

তামান্না হাবিব নিশু: কেন বার বার যমজ সন্তানের মা হন সেলিনা? অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগে। সম্প্রতি উত্তরও দিয়েছেন অভিনেত্রী। কী বলেছেন তিনি?

দু’বার যমজ সন্তানের মা হয়েছেন অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। ২০১২ সালে প্রথম বার তাঁর কোল আলো করে এসেছিল দুই যজম ছেলে। তার পর ২০১৭ সালে আবার যমজ সন্তান গর্ভে আসে তাঁর। সে বারেও তিনি দু’টি ছেলে সন্তানের মা হন। তবে নবজাতকের মধ্যে এক জনের হার্টে সমস্যা থাকায় চিকিৎসকেরা তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। বার বার কেন সেলিনা যমজ সন্তানের মা হন? অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগে। সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমার জিনগত একটি বিরল রোগ রয়েছে, যার ফলে প্রত্যেক বারই আমার নন-আইডেনটিকাল যমজ সন্তান কিংবা তারও বেশি গর্ভে ধারণ করার সম্ভাবনা থাকে। এমন জিন আমার শরীরে রয়েছে, যার ফলে ডিম্বস্ফোটনের সময় একাধিক ডিম্বাণু নির্গত হয়। এর ফলে একবারে একাধিক সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গর্ভধারণের সম্ভাবনা বহুগুণ বৃদ্ধি করে।’’

এই জেনেনিক সমস্যার কারণে সেলিনার স্বাস্থ্যের অবস্থা মোটেই ভাল নেই সেলিনার। অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক একটি পোস্ট এমনই কথা বলছে। পোস্টে সেলিনা লিখেছেন, ‘দু’বার যমজ সন্তান গর্ভে ধারণ করার ফলে আমার শরীরে একাধিক হার্নিয়া তৈরি হয়েছে, এ ছাড়াও শরীরে নানা রকম জটিলতা দেখা দিয়েছে। হার্নিয়ার সমস্যা এতটাই বাড়াবাড়ির পর্যায় পৌঁছে যায় যে, আমাকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। আপাতত আমি ঠিক আছি, অস্ট্রেলিয়ায় নিজের বাড়িতে আছি।’

যমজ সন্তান বা তার বেশি সন্তানের মা হলে কী কী শারীরিক সমস্যা দেখা যায়?

১) সাধারণত ৩৭ সপ্তাহে সন্তান প্রসব করেন মায়েরা। তবে যমজ কিংবা দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে সময়ের আগেই প্রসবের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলাই অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। তবে যমজ বা তার বেশি সন্তানের ক্ষেত্রে অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বে়ড়ে যায়।

৩) যমজ বা তার বেশি সন্তান গর্ভে থাকার সময় জেস্টেশেনাল ডায়বিটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এই প্রকার ডায়াবিটিস অন্তঃসত্ত্বাদেরই হয়। এর ফলে সন্তানদের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।

৪) অন্তঃসত্ত্বার গর্ভে দু’টি বা তার বেশি সংখ্যক সন্তান থাকলে প্লিক্ল্যাম্পশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এই রোগে রক্তচাপ অনেকটা বেড়ে যায়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে পড়ে যে, কিডনি ও লিভারও ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

৫) পোস্টপার্টাম হ্যামারেজে হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply