শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
৩ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে পোশাক রফতানি আয়

৩ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে পোশাক রফতানি আয়

মতিহার বার্তা ডেস্ক :  তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত। সম্ভাবনাময় এ খাতকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কর্মসংস্থানের বিশাল একটি বাজার। এ পোশাক শিল্পই হয়ে উঠেছে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। বর্তমান সরকারের ১০ বছরের শাসনামলে দেশের রফতানি আয়ে বিরাট অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এবছর তৈরি পোশাক শিল্পে রফতানি আয় বেড়েছে ছাড়িয়েছে ৩ হাজার কোটি ডলার। যার ফলে বিগত অর্থবছরের তুলনায় এই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ শতাংশ। এমনই তথ্য উঠে এসেছে সম্প্রতি রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কতৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের জিডিপিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবদান দিনদিন বাড়ছে। বর্তমানে জিডিপির ৩৬ দশমিক ৫০ শতাংশ অবদান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের। বাণিজ্যের এ প্রসারে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি হয়। যেখানে বাংলাদেশ আমদানি করে ১২০টি দেশে থেকে। বর্তমানে দেশের পণ্য রফতানিতে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সোমবার পণ্য রফতানি আয়ের যে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, তৈরি পোশাক রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হওয়ার কারণে সামগ্রিক পণ্য রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পোশাক রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ১৭৩ কোটি ডলারের বেশি। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। একক মাস হিসেবে গত মে মাসে ৩৮১ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।

ইপিবি’র প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব ধরণের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রফতানি আয় এসেছে ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি ডলার। যদিও এই ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৫৪০ কোটি ডলারের কিছু বেশি। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। প্রতিবেদনে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে গত মে মাসে ৩৮১ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এটি বিগত বছরের মে মাসের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের মে মাসে রফতানি হয়েছিল ৩৩২ কোটি ডলারের পণ্য।

বর্তমান সরকারের রপ্তানিমুখী বিভিন্ন ধরণের কার্যকরী উদ্যোগের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রফতানি আয় তার প্রমাণ বহন করছে। শুধু রফতানিখাতই নয় লম্বা সময় ধরে একই সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশের সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে।

মতিহার বার্তা ডট কম – ১২ জুন, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply