শিরোনাম :
সাপ্তাহিক বাংলার বিবেক পত্রিকা অফিসে দূস্কৃতিকারীদের ককটেল হামলা ও সিটি ক্যামেরা ভাংচুর নগরীর মতিহারে বিল্ডিং নির্মান বন্ধের হুমকি! ভয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিলেন বিধবা নারী (ভিডিও) গোদাগাড়ীতে ১০লাখ টাকার হেরোইন-সহ ৩জন মাদক কারবারী গ্রেফতার নগরীর তালাইমারীতে গাঁজা কারকারী মল্লিক গ্রেফতার রাজশাহীতে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু রিভার সিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রুয়েটকে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রুপান্তর করতে হলে সকল ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী চিপস্ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ চেষ্টা: আসামি নাইম গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আরএমপি’র নোটিশ জারি তানোরে ক্লুলেস হত্যা মামলার পলাতক আসামি ইকবাল গ্রেফতার কৃষিতে বির্পযয়ের আশঙ্কা তানোরে চোরাপথে আশা মানহীন সারে বাজার সয়লাব
রাজশাহী রেলওয়ের খালাসী পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে ৪শ’ টাকা

রাজশাহী রেলওয়ের খালাসী পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে ৪শ’ টাকা

রাজশাহী রেলওয়ের খালাসী পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানপত্র পেতে ধাপে ধাপে হয়রানি। ”জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে ৪শ’ টাকা ”

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ রেলওয়েতে খালাসী পদে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন ৮৬৯ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েও তারা স্বস্তিতে নেই। কারণ যোগদানপত্র পেতে তারা ধাপে ধাপে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তাদের গুনতে হচ্ছে নগদ অর্থও। খালাসী পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রতিজনের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৪শ’ টাকা করে। আর এই টাকা নিচ্ছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজশাহী চীফ পার্সোনেল অফিসের কর্মচারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালাসী পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকে অভিযোগ করে বলেন, যারা খালাসী পদে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের অনেকের বাড়ি দেশের দূরবর্তী বিভিন্ন এলাকায়। খালাসী পদে যোগদানপত্র নেয়ার জন্য গত কয়েকদিন ধরে আমাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ধাপে ধাপে গুনতে হচ্ছে নগদ টাকা। তারা বলেন, মেডিকেল স্লিপ দিয়ে অবৈধভাবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজশাহী চীফ পার্সোনেল অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আকরাম হোসেন নিচ্ছেন ২শ’ টাকা করে। আর ডিক্লারেশন ফরম দিয়ে অবৈধভাবে অফিস পিয়ন শফিউল্লাহ নিচ্ছেন ২শ’ টাকা করে। এছাড়া শহিদুলসহ এই অফিসের ছয়জনের সমন্বয়ে একটি সি-িকেট রয়েছে। আর এই সি-িকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন একই অফিসের স্টেনো টাইপিস্ট অমল।

এ ব্যাপারে জানতে মোবাইলে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আকরাম হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। আর অফিস পিয়ন শফিউল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে স্টেনো টাইপিস্ট অমল ও শহিদুল বলেন, অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা টাকা নিচ্ছি। জনপ্রতি ৪শ’ টাকা করে নিয়ে মেডিকেল স্লিপ ও ডিক্লারেশন ফরম দেয়া হচ্ছে। তবে এই টাকা নেয়ার নিয়ম আদৌ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অমল ও শহিদুল ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, এ ব্যাপারে লেখালেখি করে কোনো লাভ নেই।

এ ব্যাপারে জানতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজশাহী চীফ পার্সোনেল অফিসার (সিপিও) মো: সাহিদুল ইসলাম ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে বলেন, আমার সাথে কথা বলতে হলে আগামী রোববার আমার অফিসে এসে কথা বলতে হবে। আমি মোবাইলে আর কোনো কথা বলতে চাই না। তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

মতিহার বার্তা ডট কম-০৪ জুলাই  ২০১৯র

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply