শিরোনাম :
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন, পুতিন ! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে রাসিক মেয়রের অভিনন্দন যৌনসুখ পেতে গিয়ে যুবকের যৌনাঙ্গে আটকে গেল ১১টি আংটি রাবি ভর্তি পরীক্ষায় ‘কম নম্বর দেওয়ার’ অভিযোগ ভিত্তিহীন; সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক ৭০ বছরেরও বেশি কেটেছে লোহার সিলিন্ডারে, মৃত্যুর আগে কোটি কোটির সম্পত্তি রেখে গেলেন আইনজীবী রক্তগঙ্গা বইবে, ভেঙে যাবে আমেরিকার গণতন্ত্র! তিনি হারলে আর কী কী হবে? ভবিষ্যদ্বাণী করলেন ট্রাম্প মহাকাশে রেস্তরাঁ, চমক ২০২৫-এ খাবার খেয়েও ডায়াবিটিসের সঙ্গে লড়াই করা যায়, টুকটাক মুখ চালাতে কোনগুলি খাবেন? ৫ স্বাস্থ্যকর খাবার: জলে ভিজিয়ে খেলে তবেই লাভ হবে শরীরের, পাবেন পুষ্টিগুণ ক্যাটরিনাকে বৌমা হিসেবে পেয়ে কেন খুশি ভিকির মা, কারণ জানালেন অভিনেতা
রাজশাহীতে মাত্র কয়েক লক্ষ টাকার বালু মহাল প্রায় ১৫ কোটি টাকায় বিক্রি

রাজশাহীতে মাত্র কয়েক লক্ষ টাকার বালু মহাল প্রায় ১৫ কোটি টাকায় বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে আবারও দ্বিতীয় বারের মতো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিযোগীতা মূলক বালু মহালের টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঠিকাদারগণ সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে তাদের কাঙ্খিত বালু মহালের টেন্ডার দাখিল করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী দরদাতাগণেন সম্মুখে টেন্ডার বাক্স খোলা হয় এবং সর্বোচ্চ (দরপত্র) দাতার নাম ঘোষনা করা হয়। এতে দেখা যায় শ্যামপুর বালু মহাল ২ কোটি ২ লক্ষ টাকা। যা গত বাংলা ১৪২৫ সনে ছিলো ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।

হাড়ুপুর ও নবগঙ্গা ৫ কোটি ২ লক্ষ টাকা। যা গত বাংলা ১৪২৫ সনে ছিলো ৫ লক্ষ টাকা। কসবা, মদনপুর, চর-হরিপুর ৪ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। যা গত ১৪২৫ সনে ছিলো ৫ লক্ষ টাকা। গোদাগাড়ীর ৫টি মৌজা ৫৫ লক্ষ টাকা। যা গত ১৪২৫ সনে ছিলো ৭ লক্ষ টাকা। গোদাগাড়ীর ১৩টি মৌজা ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা। যা গত ১৪২৫ সনে ৬ মাসের জন্য লিজ ছিলো ৮২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ইউসুফপুর ৫৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৬ শত টাকা। চারঘাট ২ কোটি ২ লক্ষ টাকা। বাঘা ৩০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।

এর আগে ১১ অক্টোবর ২০১৮ প্রথম বারের মতো জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিযোগীতা মূলক বালু মহালের টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়। এবং ওই টেন্ডারে প্রতিযোগীতা মূলক ঠিকাদারগন টেন্ডার দাখিল করেন। সেখানে দেখা যায় মাত্র কয়েক লক্ষ টাকার বালু মহাল কোটি টাকায় বিক্রি হয়।

একাধীক বালু ব্যবসায়ীগণের বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে সকল সরকারের আমলে রাজশাহী নগরীর প্রভাবশালী একটি মহল এই বালু মহাল তাদের সিন্ডিকেটের নিকট জিম্মি করে রেখেছিলো। যারা আজ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে।

আর এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ কাটাখালী পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্বাস আলী এগিয়ে আসেন।

এবং তারা ১১ অক্টোবর ২০১৮ প্রথম বারের মতো অংশ গ্রহন করেন এবং স্বার্থক হন। এবার দ্বিতীয়বারের মতোও তারা স্বার্থক হন। এতে দেখা যায় মাত্র কয়েক লক্ষ টাকার বালু মহাল কোটি টাকায় বিক্রি হয়।

জানতে চাইলে কাটাখালী পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্বাস আলী বলেন, একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের নিকট রাজশাহীর বালুমহাল জিম্মি থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিলো সাধারণ বালু ব্যবসায়ীগণ।

আর এই সিন্ডিকেটের কারনে অনেক বালু ব্যবসায়ীরা বালু ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায় যোগ দেয়। আবার অনেকে বালু ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে অটো রিক্সা চালাতে দেখা যায়। অন্যদিকে সরকার হারায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তিনি আরো বলেন, বালু মহাল সিন্ডিকেটের নিকট স্বল্প পূজির বালু ব্যবসায়ী ও সকল শ্রেণীর বালু ক্রেতাগনসহ সরকারের রাজস্ব বাড়ানোয় ছিলো আমার মূল উদ্দ্যেশ্য। 

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৭ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply