শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে তীব্র গরমে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি, অতিষ্ট নগরবাসী

রাজশাহীতে তীব্র গরমে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি, অতিষ্ট নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে তীব্র গরমে বিদ্যুতের ঘনঘন আসা যাওয়ায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে নগরবাসী। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা অনেকটায় স্বাভাবিক। শুধু বৃষ্টিতেও বিদ্যুৎ থাকেনা। সেটিও অনেকের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কিন্তু বিনা অজুহাতে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। না ঝড় না বৃষ্টি। তবু ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না।

এ অবস্থা শুরু হয়েছে রাজশাহী বিদ্যুৎ বিভাগ নেসকো’র (নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড) আওতায় আসার পর থেকে। অভিযোগ উঠেছে নেসকোর কর্মকর্তাদের উদাসিনতার কারনে এমন পরিস্থির সৃষ্টি হয়েছে।

এখন চলছে বর্ষাকাল। আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণ চলছে। বিদ্যুৎ নিয়ে চলছে নানান নাটক। যখন সামান্য বৃষ্টি নামে তখন থাকে না বিদ্যুৎ। নেসকোর পক্ষ থেকে বলা হয়। বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে লাইন নষ্ট হওয়া আশঙ্কা থাকে। বৃষ্টিপাতের শুরুতেই শুরু হয়েছে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি খেলা। আকাশে মেঘ উঠলেই সঙ্গে সঙ্গে চলে যায় বিদ্যুৎ। এ বিষয়টি নগরবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে।

তবে ভালো দিনেও বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা আরো বেশি ভাবিয়ে তুলেছে নগরবাসীকে। এখন নিয়মিত লুকোচুরি খেলছে বিদ্যুৎ। বারবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হচ্ছে নগরবাসী। নেসকোর কাছে বারবার বলেও কোনও সুরাহ হচ্ছেনা। তারা বলছে কোনও লোডশেডিং নেই। হঠাৎ করে বাড়তি চাপের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে অফিস-আদালতেও স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। ফলে দিনে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। নগরীর উপকণ্ঠগুলোতে আরও ভয়াবহ অবস্থা। নগরীর কাজলা, মেহেরচন্ডি, বুধপাড়া, চৌদ্দপায়, বিনোদপুর, হারুপুর, কাশিয়াডাঙ্গা, নওদাপাড়া, কোর্ট, হড়গ্রাম এলাকায় বিদ্যুৎ গেলে আসার আর নাম থাকে না। দিনে ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ যায় এইসব এলাকায়।

নগরীর মুন্নাফের মোড় এলাকার বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আইরিন খানম জানান, প্রত্যেক ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়, নিস্তার মিলে না দিনের বেলায়ও। বৃষ্টি, ঝড় কিংবা ভালোদিনেও সমানতালে চলে লোডশেডিং। আর এতে করে পড়াশোনা ক্ষতির পাশাপাশি মূল্যবান ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীতে বিদ্যুতের চাহিদা ৮০ থেকে ৯০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বরাদ্দ মিলছে আরও ১০ মেগাওয়াট কম। প্রচণ্ড গরমের সময় রাজশাহীতে বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়ায় ১০০ মেগাওয়াটের ওপরে। আর এই চাহিদা পুুরণ করতে পারছে না নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী। তাদের কর্মকর্তা দাবি করছেন রাজশাহীতে সেভাবে কোন লোডশেডিং নেই।

এবিষয়ে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসিনা দিলরুবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজশাহীতে এখন চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে।

রাজশাহীর সময় ডট কম –২১ জুলাই ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply