তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পিডিবির অতিরিক্ত বিলের প্রতিবাদ করায় অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলে অভিযোগ উঠেছে । গ্রাহকদের প্রতিবাদের মুখে একপ্রকার বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত বিল তৈরিকারী মাস্টার রোল কর্মচারী সান্টুকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে শান্ত হয় গ্রাহকরা।
গতকাল রোববার সকালের দিকে তানোর পৌর সদর হিন্দুপাড়ায় অব¯ি’ত পিডিবির কার্যালয়ে ঘটে ঘটনাটি।প্রায় দুঘণ্টা ধরে চলে এমন ঘটনা। পরে আবাসিক প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে বিদ্যুৎ অফিসে দীর্ঘদিনের মাস্টাররোল কর্মচারী সান্টুকে প্রত্যাহার অথবা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়ে পুনরায় অফিস করা শুরু করেন ।
এতে করে পিডিবির ভৌতিক বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা । ফলে মাসের পর মাস ভৌতিক বিলে গ্রাহকের যেমন কাটা পড়ছে পকেট ঠিক একই ভাবে পকেট ভারী করছেন অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা ।
জানা গেছে মাসের পর মাস পিডিবির রিডারম্যানরা কোন ধরনের মিটার না দেখে ইচ্ছেমত বিল তৈরি করেন । গ্রাহকরা প্রতিবাদ করেও এর কোন পরিত্রাণ পা”িছল না। তানোর পৌর সদরের হিন্দুপাড়াগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরেশ জানান আমার বাড়ির বিদ্যুৎ বিলে ২০০ ইউনিট বেশি করে বিল দেয়া হয়েছে।
আমি রোববারে অফিসে আসলে কিবরিয়া নামের এক কর্মকর্তা আমার বাসার মিটার দেখতে যান ।গিয়ে দেখেন ২০০ইউনিট বেশি বিল দিয়েছে।এমনকি তাদের রেজিলেশন খাতায় বেশি ইউনিট তোলা আছে। আর হিন্দুপাড়াসহ আশপাশের গ্রামের বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে মাস্টার রোল কর্মচারী হিন্দুপাড়াগ্রামের সান্টু। তিনি কথা বলতেই আসেন গুবিরপাড়া গ্রামের রমজান নামের আরেক গ্রাহক ।
তিনি জানান, গত মাসে আমার বাড়ির বিল আসে ৯৮৭ টাকার মত।আমি অফিসে আসলে বিলের কাগজ নিয়ে বলে সংশোধন করে দেয়া হবে।তারপর আমাকে আর কোন কাগজ দেয়নি। এমাসেও প্রায় একই সমান বিল আসে। বিল দিতে গেলে ব্যাংক বলে প্রায় ১৯শো টাকা বিল দিতে হবে। হিন্দুপাড়াগ্রামের গনেস জানান আমার বিলেও ২০০ইউনিট বাড়তি দেয়া হয়েছে।
এভাবে আসতে আসতে অর্ধশতাধিক গ্রাহক উপস্থিত হয়ে পড়েন । তাদের একটাই দাবি এসব অতিরিক্ত বিলের মুলেই রয়েছে সান্টু ।তাকে এখান থেকে না সরালে আমরা কোন ভাবেই অফিস খুলতে দিবনা।
গ্রাহকদের দাবির প্রেক্ষিতে অফিসে দায়িত্বরত কিবরিয়া গ্রাহকদের জানান যেহেতু আর-ই স্যার নেই সান্টুকে প্রত্যাহারের জন্য আমরা জোর তাগাদা দিব এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে আপনারা এর একটা সমাধান পাবেন। অবশ্য গ্রাহকরা সান্টুকে হাজির করার জন্য বললেই কোন ভাবেই তাকে হাজির করতে পারেন নি । পরেশ আরো জানান অফিসের মুল কর্মকর্তা আর-ই না সান্টু। তিনি যেভাবে অফিস পরিচালনা করবেন সে ভাবেই অফিস পরিচালনা হয়।
কোন গ্রাহক আর-ইর সাথে দেখা করতে আসলে সান্টু সেখানে বাধা দেন এমন অভিযোগ অহরহ। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অফিসে আসেননি পিডিবির আবাসিক প্রকৌশলী হেলালুজ্জামান।
এদিকে গ্রাহকের তোপের মুখে রিডারম্যান পালিয়ে যান। আবাসিক প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি ঢাকায় আছি।আগামী তিনদিনের মধ্যে অফিস গিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।
মতিহার বার্তা ডট কম – ২১ জুলাই ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.