শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মটরশুটি!

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মটরশুটি!

মতিহার বার্তা ডেস্ক :  মটর শুটি খুবই সুস্বাদুকর এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। সাধারণত এটি শীতকালে পাওয়া যায়। এটি একটি একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম Pisum sativum । এটি একটি ডাল জাতীয় উদ্ভিদ এবং গোলাকার বীজ সমৃদ্ধ।

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কেন রাখবেন মটরশুটি তা জেনে নিন…
১. ওজন কমাতে: মটরশুটিতে ফ্যাট এবং ক্যালোরির পরিমান খুবই কম। তাই বেশী খেলেও কম ক্যালোরি পাওয়া যায় ফলে কম ক্যালোরি-তে অধিক সময় পেট ভরিয়ে রাখা যায়। তাই অধিক খাবারের চাহিদা থেকে দুরে রাখে। তাই ওজন কমাতে এটি খুবই সহায়ক।
২. পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে: মটরশুটিতে কেমোস্ট্রোল নামক পলিফেনল রয়েছে যেটা ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই সহায়ক। তাই পাকস্থলীর সুস্থতায় মটরশুটি খাওয়া খুবই জরুরী।
৩. রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: মটরশুটিতে রয়েছে অনেক অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট যা দেহের অনেক খারাপ বিক্রিয়া প্রতিরোধ করে ফলে অনেক কঠিন রোগ থেকে আমরা বেঁচে যাই। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল যেমন-আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার ইত্যাদি যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪. বুড়িয়ে যাওয়া হতে বাধা দিতে: মটরশুটিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট যেমন ফ্ল্যাভানয়েডস্, ক্যাটেসিন, এপিক্যাটেসিন, ক্যারোটিনয়েডস্ যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে এবং বুড়িয়ে যেতে বাধা দেয়।
৫. বাতের ব্যাথায়: মটরশুটিতে ভিটামিন-কে রয়েছে যা বাতের ব্যাথা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই বাতের ব্যাথা প্রতিরোধে মটরশুটি খুবই সহায়ক।
৬. রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে: মটরশুটিতে রয়েছে অতিরিক্ত ফাইবার এবং প্রোটিন যেটি গ্লূকোজ পরিপাক হওয়ার সময় বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি এটি কোন অতিরিক্ত চিনি বহন করে না এবং প্রোটিন এর রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে ভূমিকা পালন করে।
৭. চোখের উপকারিতায়: এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভনয়েডস্, বিটাক্যারোটিন, লুটেইন ইত্যাদি যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে।
৮. চুল পড়া রোধে: এতে ভিটামিন-সি রয়েছে যা কোলাজেন নামক প্রোটিন তৈরীতে সাহায্য করে । কোলাজেন চুলের গোড়া শক্ত করে ফলে চুল পড়া কমে যায়।
৯. হজম ক্ষমতা বাড়াতে: এতে উচ্চমানের ফাইবার রয়েছে। তাই এটি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
১০. গর্ভবতী মায়ের জন্য: এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমানে ফলিক এসিড যা বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাই গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই মটর শুটি রাখা উচিত তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
পরিশেষে আমরা এটা বলতে পারি, যে পুষ্টিগুনের দিক থেকে মটরশুটি খুবই উচ্চমানের একটি সবজি তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই এটি আমাদের রাখা উচিত। তাছাড়াও এই সবজিটি সহজেই সংরক্ষন করা যায়। তাই সারাবছরই এটা আমরা উপভোগ করতে পারি।

লেখক : আলফি শাহরিন, শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।

মতিহার বার্তা ডট কম  – ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply