শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
ভারতের সীতারামপুরে যৌনকর্মীদের ছট পুজো

ভারতের সীতারামপুরে যৌনকর্মীদের ছট পুজো

ভারতের সীতারামপুরে যৌনকর্মীদের ছট পুজো
ভারতের সীতারামপুরে যৌনকর্মীদের ছট পুজো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতপাতের বেষ্টনী বাঁধতে পারেনি সীতারামপুরকে। সূর্য প্রণামে ধর্ম বড় হয়নি। সমাজের চোখে অচ্ছুৎ, অপাংক্তেয় বলেও দাগিয়ে দেওয়া হয়নি কাউকে।

গঙ্গাস্নান করে বিধিমতো পুজোর রীতি পালন করেছেন যৌনকর্মীরা। একই সঙ্গে, একই ঘাটে সম্প্রীতির রঙিন ছবি ফুটে উঠেছে পশ্চিম বর্ধমানের সীতারামপুরে।“সারা বছর যৌনপল্লির অন্ধকারেই দিন কাটে। সমাজও বাঁকা চোখে দেখে।

কিন্তু ছট পুজোর এই দু’দিন সকলেই এক। পুজোর রীতিতে জাতপাত, পেশা, উঁচু-নিচুর বিভেদ নেই,”রাস্তায় দণ্ডী কেটে সাষ্টাঙ্গ সূর্যপ্রণাম করতে করতে বলেছেন এক যৌনকর্মী। এখানে আমরা সবাই মিলেমিশে থাকি। কার কী ধর্ম সেটা মনেও রাখি না। উৎসব-পার্বণে একই সঙ্গে ব্রত রাখি।

লাল শালুতে পুজোর উপচার ডালায় ঢেকে সকাল থেকেই মেলা ভিড় ছিল সীতারামপুরের ঘাটে। আলো, কলাগাছ, শোলার কাঠি, বেলুন, রঙিন কাগজের বাহারে ঘাট সাজিয়ে তোলা। অন্ধকার থাকতে থাকতেই ঢাকের আওয়াজ। মেহেন্দিতে হাত রাঙিয়ে মা-বোনেদের ভিড়। ঘাট পরিষ্কার করতে ব্যস্ত পুরুষরা।

মূলত হিন্দিভাষীদের এই উৎসবে চতুর্থী থেকে সপ্তমী পর্যন্ত ব্রত পালন করা হয়। এই ক’দিন লাউভাত, খাড়না (আতপ চালের ভাত) খাওয়ার রীতি রয়েছে। ছট পুজোর এক অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, এখানে ভোর এবং সন্ধে, অর্থাৎ উদীয়মান সূর্য এবং অস্তগামী সূর্য— দুই-ই পূজিত হন। এ দিন সকাল থেকে সন্ধে ঘাটে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

নিয়ামতপুরের কামারবাঁধে আবার দেখা গেছে অন্যচিত্র। শুক্রবার সন্ধে থেকেই সেখানে ঘাট পরিষ্কারের কাজে নেমেছিলেন এলাকার যুবকরা। কলাপাতা, রঙিন কাগজে ঘাট সাজিয়েছিলেন তাঁরাই। হিন্দু মা –বোনেদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারও সে সামিল হবে সূর্যপ্রণামে! একই মন্ত্র উচ্চারণে অর্ঘ্য নিবেদন করবেন দুই ধর্মের মানুষই।“

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৩ নভেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply