শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীর বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনে হাজার বিঘা জমি ও তিন‘শ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

রাজশাহীর বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনে হাজার বিঘা জমি ও তিন‘শ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

রাজশাহীর বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনে হাজার বিঘা জমি ও তিন‘শ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন
রাজশাহীর বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনে হাজার বিঘা জমি ও তিন‘শ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় চকরাজাপুর এলাকা অসময়ে পদ্মার ভাঙনে এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাজার বিঘা জমি ও সাড়ে তিন‘শ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মার ভাঙনে ১০০ মিটার দূরে রয়েছে চরকালিদাসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি হুমকির মধ্যে রয়েছে। যেকোনো সময় পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। অসময়ে এ পদ্মার ভাঙন দেখা দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরবাসী।

জানা যায়, অসময়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চকরাজাপুর এলাকার আনোয়ার হোসেন শিকদার, নুরুল ইসলাম, আসলাম আলী শেখ, সাইদুর রহমান, ইকবাল হোসেন, গজল হোসেন, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ আলী, সাইফুল ইসলামসহ শতাধিক ব্যক্তির জমিতে রোপন করা আম বাগান, কুল বাগান, পেয়ারা বাগান, শাকসবজি, বিভিন্ন ফসলি জমিসহ হাজার বিঘা জমি পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এরমধ্যে সাড়ে তিন শতাধিক ব্যক্তি বাড়িঘর পদ্মা বিলীন হয়ে যায়। তারা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

এদিকে চরকালিদাসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ভাঙনের ফলে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম আতঙ্কে। বিদ্যালয়টি ভাঙন থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে রয়েছে।

এ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলামর, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র পারভেজ আলী, সোহাগ আলী জানায়, পদ্মায় ভাঙনের কারণে স্কুল মাঠে খেলতে পারি না। ভয় লাগে।

চরকালিদাসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম বাহাদুর হোসেন বলেন, পদ্মার পাড় ভাঙতে ভাঙতে বিদ্যালয়ের নিকট এসে গেছে। ফলে ছেলে-মেয়েদের ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন শিকদার বলেন, পানি কমার সাথে সাথে আমার ২০ বিঘা জমির উপর আম বাগান ও আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দেখেও কিছুই করতে পারলাম না।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, ভাঙনের কথা কি বলবো রে ভাই, আমার ২২ বিঘা জমি গত কয়েক দিনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া এ বছরে ভাঙনে চরের পলাশি ফতেপুর, চকরাজাপুর, জোতাশি, লক্ষিণগর, আতারপাড়া, চৌমাদিয়া এলাকা, চকরাজাপুর ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, ঘর-বাড়িসহ কয়েক হাজার আবাদি-অনাবাদি জমি ও গাছপালা ভিটে-মাটি হারিয়ে পথে বসেছে সাড়ে তিন শতাধিক পরিবার। তবে বর্তমানে স্কুলটির বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম সানোয়ার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের বিষয়ে অবগত রয়েছি। সোমবার (৪ নভেম্বর) পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া লক্ষীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও হুমকির মধ্যে পড়ছে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, বিদ্যালয় পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সাথে আলোচনা করে এবং পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৪ নভেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply