শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
সার্টিফিকেট বিক্রির করে স্বামী-স্ত্রীর নামে ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

সার্টিফিকেট বিক্রির করে স্বামী-স্ত্রীর নামে ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

সার্টিফিকেট বিক্রির করে স্বামী-স্ত্রীর নামে ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
সার্টিফিকেট বিক্রির করে স্বামী-স্ত্রীর নামে ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

মতিহার বার্তা ডেস্ক: বগুড়ায় এক ডজন ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে সার্টিফিকেট বিক্রির মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় এএফএম নূরুল ইসলাম (৫২) ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের (৪১) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক রবীন্দ্রনাথ চাকী মামলা দুটি রেকর্ড করেছেন।

মামলা দুটিতে নূরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ আয় ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৮২ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ টাকা অবৈধভাবে আয়ের কথা উল্লেখ করা হয়।

এরই মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মামলায় গ্রেফতার হয়ে বগুড়া কারাগারে রয়েছেন নূরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন।

মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম ও আকলিমা খাতুনকে নতুন দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।

দুদক জানায়, বগুড়া বিএড কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চারুকলা ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট ও মেডিকেল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন নামে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং সার্টিফিকেট বিক্রি করে আসছেন নূরুল ইসলাম। প্রতারণার ওই অর্থ স্ত্রী আকলিমার ব্যাংকেও জমা রাখেন তিনি। এরই মধ্যে সাড়ে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হলে ১৪ জুলাই নূরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমাকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে নূরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ আয়ের তথ্য পাওয়ার পর নিজ নিজ সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য চলতি বছরের ২৫ জুন চিঠি দেয়া হয়। তারা সেই চিঠি গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকায় সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। অবশ্য এরপর সম্পদের বিবরণী দাখিল করেননি তারা।

পরে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, স্থাবর-অস্থাবর মিলে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩৫ টাকার সম্পদ আয় করেছেন নূরুল ইসলাম। পাশাপাশি তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৮২ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ টাকার অবৈধ সম্পদ। অবৈধভাবে অর্জিত এসব সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন তারা। এজন্য এই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৪ নভেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply