শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে অর্থের বিনিময়ে মাদক সম্রাট পালাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

রাজশাহীতে অর্থের বিনিময়ে মাদক সম্রাট পালাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

রাজশাহীতে অর্থের বিনিময়ে মাদক সম্রাট পালাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
কুখ্যাত মাদক সম্রাট পালা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীতে অর্থের বিনিময়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট ও একাধিক মামলার আসামি পালা (৪০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মতিহার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার দিকে ডাঁশমারী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মৃত আলোর বাড়ির সামনে শিমুল গাছের নিচে এ ঘটনা ঘটে। পালা মতিহার থানাধিন ডাঁশমারী এলাকার মৃত মুক্তার আলীর ছেলে ও মাদক সম্রাট মৃত আলোর ছোট ভাই।

ঘটনার সাথে জড়িত মতিহার থানার এএসআই হিরু, ও দুইজন কনষ্টেবল বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে গুঞ্জন ও আলোচনার ঝড় উঠে।

প্রতাক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কুখ্যত মাদক সম্রাট পালা মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছিল। এবং মাঝে মাঝে অতি গোপনে সে বাড়িতে আসত। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার রাতে পালা নিজের বাড়িবে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে দুজন কনষ্টেবলকে সাথে নিয়ে সাদা পোশাকে এএসআই হিরু তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ধরে ফেলে। এ সময় মাদক ব্যাবসায়ী পালার সাথে ধস্তাধস্তি হয় বলে প্রতাক্ষদর্শীরা জানান।

পরে কনস্টেবল জালালের মধ্যস্থতায় মোটা টাকার বিনিময়ে পালাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ছাড়া পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী পালা দ্রত এলাকা ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।

পরে বিষয়টি পুলিশের উর্ধতন মহলে জানাজানি হলে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পালাকে আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, ২০১৮ সালে ১ অক্টোবর রাতে পালা ও তার ভাই আলমগীর হোসেন আলোর নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ীরা ডিবি পুলিশের একজন পরিদর্শকসহ চার পুলিশকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

এই ঘটনায় পুলিশ আলো ও পালাসহ ২৫ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মতিহার থানায় মামলা দায়ের করে। এদিকে এই ঘটনার পর ৭ অক্টোবর আলমগীর হোসেন আলো পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।

এ ঘটনার পর থেকে পালা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পালার বিরুদ্ধে মতিহার থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মাদকের বেশ কিছু মামলা রয়েছে বলে মতিহার থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে এএসআই হিরুর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন ভিন্ন কথা, ঘটনার সময় আমি ছিলামনা বলে জানান তিনি। একপর্যায় বলেন, আমি ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করছি। থানায় এসে কথা বলেন। ঘটনা সম্পর্কে মতিহার থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে, ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এদিকে আজ সোমবার রাজশাহী নগরীর পদ্মার চরে ১০০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করেছে বিজিবি। তবে পালিয়েছে জামাল (৪০) ও পালা (৪০) নামের দুই মাদক ডিলার।

                      জামাল ও পালা

গতকাল রোববার দিবগত রাত ১০টার দিকে নগরীর মতিহার থানাধিন পদ্মার মিডিল চর দিয়ে বস্তা বোঝাই ফেন্সিডিল বহন করে এপার নিয়ে আসছিল তারা।

এ সময় ১বিজিবি তালাইমারী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার জেসিও মোঃ রফিকুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স তাদের থামতে বলেন। কিন্ত তারা দুজনে বস্তা বোঝাই ফেন্সিডিল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে আটক করতে ব্যর্থ হয়।

পলতাক মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: মতিহার থানাধিন ডাসমারী স্কুল মোড় এলাকার নাজিমের ছেলে জামাল ও একই এলাকার মৃত মুক্তার আলীর ছেলে মাদক ডিলার পালা।

কোম্পানী কমান্ডার জেসিও মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি সিমান্তের ১০ নং পিলার এলাকা থেকে ফেন্সিডিলের একটি চালান ডাসমারীতে নিয়ে যাচ্ছে মাদক চোরাকারবারীরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পদ্মার মিডিল চরে অভিযান চালিয়ে ১ বস্তা ফেন্সিডিল জব্দ করি। তবে ধাওয়া দিয়েও মাদক ব্যবসায়ী জামালা ও পালাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জব্দকৃত ১০০ বোতল ফেন্সিডিল মাদক ব্যবসায়ী জামাল ও পালাকে পলাতক আসামী করে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানানকোম্পানী কমান্ডার। 

মতিহার বার্তা ডট কম – ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply