মতিহার বার্তা ডেস্ক: কুমিল্লায় আপন ছোট ভাই সোহেল মিয়াকে (৩২) হত্যার পর বস্তাবন্দি করে ঘরের ভেতরই মাটিচাপা দিয়েছেন বড় ভাই ইব্রাহিম ও ভাবি রোজিনা আক্তার। শুধু তাই নয়, সেই ঘরেই তারা বসবাস করে আসছিলেন।

এ ঘটনায় ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনা আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাটির নিচ থেকে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বের) দুপুরে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত সোহেল মিয়া ওই গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট দেবিদ্বার উপজেলার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি এলাকার দুই ভাই ইব্রাহিম এবং সোহেল মিয়ার মাঝে মারামারি হয়। একপর্যায়ে বড় ভাই ইব্রাহিম তার স্ত্রী রোজিনাকে নিয়ে ছোট ভাই সোহেলকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই সোহেল মারা যান। ওই দম্পতি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ছোট ভাইয়ের মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরের ভেতরই মাটি চাপা দেন। পরে বেশ কয়েকদিন যাবত তাকে খুঁজে না পেয়ে সোহেল কোথায় আছে জানতে চান ভাগনে মাইনুদ্দিন। এ সময় ঘাতক ইব্রাহিম জানান- সোহেলকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দেয়া হয়েছে।

মাঈনুদ্দিন বলেন, সোহেল কোন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে আছে তা জানতে চাইলে ইব্রাহিম উত্তর না দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এতে আমাদের সন্দেহ বেড়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনাকে চাপ দিলে নিজ ঘরের ভেতর সোহেলের মরদেহ পুঁতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে দেবিদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ঘাতক ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দেবিদ্বার থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন জানান, ঘাতক ইব্রাহিমের স্ত্রীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজ সোহেল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইব্রাহিমকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জাগো নিউজ

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০