শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
দল ছাড়লেন বিজেপির শীর্ষ নেতা, প্রবল চাপে মোদী-শাহ

দল ছাড়লেন বিজেপির শীর্ষ নেতা, প্রবল চাপে মোদী-শাহ

দল ছাড়লেন বিজেপির শীর্ষ নেতা, প্রবল চাপে মোদী-শাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নয়া কৃষি বিল নিয়ে প্রবল চাপে মোদী সরকার! বিতর্কিত এই বিল পাস করার পর থেকেই কৃষক ‘বিদ্রোহ’ শুরু হয়েছে। পঞ্জাব সহ একাধিক জায়গাতে চলছে বিক্ষোভ।

কৃষকদের পাশাপাশি এই কৃষিবিলের প্রতিবাদ জানিয়েছে মোদী সরকারের সঙ্গ ছেড়েছে শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। তার কয়েকদিন পরে অকালি দল এনডিএ জোট ছাড়ে।

অকালি দলও পাঞ্জাব-হরিয়ানায় কৃষকদের স্বার্থে কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শামিল হয়েছিল। দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই পাঞ্জাবে ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। কৃষি আইনের প্রতিবাদে দল ছাড়লেন পাঞ্জাব বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মালবিন্দর সিং কাং।

শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একগুয়েমির অভিযোগ তুলে এবং কৃষি আইনের প্রতিবাদে দল ছাড়লেন মালবিন্দর। তিনি বলেছেন, ‘আমি কৃষকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলাম। বিল পাসের সময়ে দলের কোর কমিটির সদস্য হিসাবে আমার কথা গ্রাহ্য করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আমাকে পাকিস্তানি তকমা দেন।’

তিনি আরও জানান, কৃষকদের পক্ষে কথা বললে বিজেপি নেতারা এই রকম ভাষাতেই কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি যখন চণ্ডীগড়ে আসেন, তখনও কৃষকদের সমস্যার কথা তাঁকে বলেছিলেন মালবিন্দর।

কিন্তু তিনিও সমস্যা সমাধানে কোনও সদিচ্ছা দেখাননি। বা পরামর্শ শোনার মতো ধৈর্যও দেখাননি। মালবিন্দরের কটাক্ষ, ‘বিজেপি নেতাদের স্বভাবই হল, নরেন্দ্র মোদী যেটা করবেন সেটাকেই সব সময়ে ঠিক বলা।’

ইতিমধ্যে তাঁর ইস্তফাপত্র শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন মালবিন্দর সিং কাং। সেখানে তাঁর দল ছাড়ার কারণ হিসাবে কৃষি বিল বিরোধীতা করা হয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র দেওয়ার পরে মালবিন্দর জানান, কৃষক, ভাগচাষি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক সংগঠনগুলি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কৃষি আইনের প্রতিবাদে লড়াই করছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগেই লোকসভায় পাস হয় এই বিল। এরপর রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে যায় কৃষি বিল। এই বিল পাশ হতেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকায়। সিরসায় পথে নেমে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন হাজার-হাজার কৃষক। রাস্তায় বসে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কৃষকরা। সদ্য পাস হওয়া এই বিলের জেরে কৃষকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্তব্য, কৃষি বিল নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে মানুষকে। কৃষকদের স্বার্থেই এই বিল আনা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১৮ অক্টোবর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply