নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ টাংগন এলাকায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ বিলকিস (৩৫) নামের এক নারী মাদক কারবারীকে আটকের পর ৬০ বোতল ফেনসিডিলের মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মহানগর গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে।
৩৪০ বোতল ফেনসিডিল ওই এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারী মিলন ও সাথির কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মামলার পলাতক আসামি টনি ও বাহারুল নামের দুই মাদক ব্যবসায়ী। আটককৃত বিলকিস কাটাখালি থানাধীন টাংগন উত্তর পাড়া এলাকার আমিনুলের স্ত্রী।
পলাতক মাদক কারবারীরা হলো: একই থানার টাংগন পূর্বপাড়া এলাকার আজিজুলের ছেলে বাহারুল (৩৮) ও মৃত আসগর আলীর ছেলে টনি (২৪)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে নগরীর কাটাখালি থানাধিন টাংগন উত্তর পাড়া এলাকার একটি কলাবাগান থেকে বিলকিসকে আটক করে ডিবি এসআই মাহফুজুর রহমান এএসআই জাহিদ ও সঙ্গীয় ফোর্স। এ সময় তার কাছ থেকে প্লাষ্টিকের দুই বোঝা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে টনি ও বাহারুল পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দুইজন মাদক কারবারীকে পলাতক দেখিয়ে নারীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই মাদক মামলার পলাতক আসামি টনি ও বাহারুল ক্যামেরার সামনে সাংবাদিকদের বলেন, সকাল পৌনে ৮ টার দিকে কলাবাগানে অভিযান চালিয়ে দুই বোঝায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ বিলকিসকে আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। টনি আরও জানায়, নদীর ওপার থেকে আমি ও আলী হোসেন নামের এক ব্যক্তি ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বোঝা ফেনসিডিল সাঁতার দিয়ে টাংগন এলাকায় নিয়ে আসি।
এসময় ডিবি পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ফেনসিডিলগুলি ফেলে পালিয়ে যায়। ক্যামেরার সামনে তারা আরও জানায়, ৪০০ বোতলের মধ্যে ৩৩০ বোতল ফেনসিডিল ৭০০ টাকা দরে মিলন ও সাথি নামের দুই মাদক কারবারীর কাছে বিক্রি করা হয় এবং ৭০ বোতলসহ বিলকিসকে নিয়ে চলে যায় তারা। অপর দিকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়ার পর ১০ বোতল ফেনসিডিল সরিয়ে ফেলে তারা।
এ বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে এএসআই জাহিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযান করেছে ডিবি’র এসআই মাহফুজুর রহমান। ফেনসিডিল পেয়েছি ১০০ বোতল। সোর্সকে দেয়া হয়েছে ৪০ বোতল অবশিষ্ট ৬০ বোতল দিয়ে বিলকিসকে মামলা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মতিহার বার্তা ডট কম: ২৬ নভেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.