শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাবি শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে সোচ্চার

রাবি শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে সোচ্চার

রাবি শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে সোচ্চার
রাবি শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে সোচ্চার

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে দিয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষার অসমাপ্ত কোর্সের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার পর থেকেই এ দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

অসম্পন্ন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করলেও হল না খোলার সিদ্ধান্তে চরম বিড়ম্বনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, হল না খুললে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে তাদের। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বলছে, স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানোর জন্যই এখনই আবাসিক হল খোলা সম্ভব হচ্ছে না।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে চলতি বছরের ১৮ই মার্চ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে চলমান পরীক্ষাগুলোও অসম্পন্ন থেকে যায়। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কমিটির সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০১৯ সালের স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পরীক্ষাসমূহ আগামী ২ই জানুয়ারি থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গণিত বিভাগে ছয়টি, আইন বিভাগে পাঁচটি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে একটি, ফাইন্যান্স বিভাগে একটি, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মৌখিক ও ল্যাব টেস্টসহ বেশ কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা অসম্পন্ন রেখেই করোনার প্রাদুর্ভাবে বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্পাস।

শিক্ষার্থীরা জানান, আবাসিক হল বন্ধ রেখে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। অথচ শিক্ষার্থীদের আবাসন ও অর্থনৈতিক দিকটি উপেক্ষিত। রাজশাহীর অধিকাংশ মেস মালিক সুযোগ সন্ধানী। হল না খুললে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়বে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হল না খোলার সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করেন শিক্ষার্থীরা। একাডেমিক সভার সিদ্ধান্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা সোচ্চার হয়ে ওঠেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামের ফেসবুক পেইজে এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘হল খোলা ব্যতীত যেকোনো পরীক্ষার সিদ্ধান্ত অমানবিক।’ আরেক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘হলে থাকলে করোনা ঝুঁকি আছে, তো মেসে কি আইসোলেশনের ব্যবস্থা আছে?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থী কে এ এম সাকিব বলেন, হঠাৎ করে যে কারো পক্ষে মেস খুঁজে নেওয়া কঠিন হবে। তাছাড়া হল না খুললে মেস মালিকেরাও সুযোগ নিয়ে বসবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে হল খুলে দেওয়া উচিত।

এদিকে শিক্ষার্থীদের এই দাবির সঙ্গে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও একমত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খোলার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দেন শাখা ছাত্রদল। সংগঠনটির রাবি শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন চৌধুরী সানিন বলেন, যেহেতু কভিড-১৯ এর প্রকোপ কিছুটা কমে এসেছে, তাই শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় আমরা হল খোলার দাবি জানিয়েছি।

শিক্ষার্থীদের ভাসমান অবস্থায় রেখে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তকে হঠকারী ও স্বৈরাচারী বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন। তিনি বলেন, হল না খুলে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খোলার দাবি জানিয়েছি।

শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান মিশু বলেন, বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসতে পরিবহনে যাতায়াত করা আর পরীক্ষার হলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা কোনো ফলপ্রসূ সমাধান নয়। নিয়ম মেনে কেবল পরীক্ষার্থীদেরকে হলে অবস্থান করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

জানতে চাইলে রাবি প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ইউজিসির পক্ষ থেকে হল বন্ধ রেখেই পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা এসেছে। পরীক্ষার সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা আসবে। তারা একসঙ্গে থাকবে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। তাই হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।

মতিহার বার্তা ডট কম: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply