নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে ডিস ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ফাইবার মেশিন ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আহত দেলওয়ার হোসেনের দুলাভাই ওমর ফারুক গত ৮ জুলাই রাতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১২, তারিখ ৮/১২/২১।
গত ৬ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় গোদাগাড়ী থানাধীন বামনাইল ব্রিজের পাশে হামলার শিকার হতে হয়েছে তার শ্যালক দেলওয়ার হোসেনকে। সেই সাথে অপটিকেল ফাইবার (স্পাইসি) জোড়া দেয়া মেশিন ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। মেশিনটির মুল্য ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
মামলা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ওমর ফারুকের শ্যালক দেলওয়ার হোসেন বামনাইল ব্রিজের পাশে ডিসলাইনের তার জোড়া দেয়ার কাজ করছিলেন। এসময় স্থানীয় সন্ত্রসী আনোয়ার ও জয়নুদ্দিন জনির নেতৃত্বে পলাশ (২৭), মেহেদী (২৭) সহ হেলমেট পরিহিত অবস্থায় অজ্ঞাত ২ জন দেলওয়ার হোসেনকে ধারালো ছুরি দিয়ে বাম পায়ের হাটুর ওপর আঘাত করে। এসময় তার প্যান্টের পকেটে থাকা ৮০ হাজার টাকা ও অপটিকেল ফাইবার (স্পাইসি) মেশিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সন্ত্রসীরা ওমর ফারুকের কাছে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন, তাদের দাবিকৃত টাকা না দেয়ার কারনে। এছাড়া ফারুকের বৈধ ডিসব্যবসা দখলে নিতেই একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে তারা। গত দুই মাসের ব্যবধানে সন্ত্রাসী আনোয়ার ও জয়নুদ্দিন জনির লোকজন দারা দুইবার হামলা শিকার হতে হয়েছে ওমর ফারুকের শ্যালক দেলওয়ার হোসেনকে। এর আগে ৩১ মে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসুয়ার কোপ দেয় মাথার ওপর ও ৬ জুলাই রাতে পা কেটে নেয়া উদ্দেশ্যে আবার হামলা চালাই তারা।
দেলওয়ার হোসেন ক্যামেরার সামনে বলেন, কাকোন হাট ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহমুদুল হাসানের প্রত্যক্ষ মদদে আনোয়ার হোসেনের লোকজন আমার ওপর একের পর হামলা করছে। এর এক মাস পূর্বে আমার মাথায় হাসুয়ার কোপ দেয় হামলাকারীরা। এতে সাত শেলাই পড়ে মাথার ওপর। এবার বাম পা কেটে নেয়ার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে তারা। চাকুর আঘাতে হাটুর এপার থেকে ওপার হয়ে যায়।
এর আগে গত ৩১ মে সংঘবদ্ধ একদল সন্ত্রাসী দেলওয়ারের ওপর হামলা চালায়। সেবার অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও এবারও হত্যার উদ্দ্যোশে হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। ওই একই দলের হামলায় এবার বাম পা হারাতে বসেছেন তিনি।
দেলওয়ার হোসেন এর দুলাভাই ওমর ফারুক ও তার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, কাকোন হাট ফাঁড়ির ইনচার্জ এর উদাসীনতা, অযোগ্যতা ও অবহেলার কারণে দেলওয়ারের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে এবং ফারুকের বৈধ ডিসলাইনের ব্যবসা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে।
তারা আরও বলেন, হামলাকারীদের কাছ থেকে পুলিশ আর্থিক সুবিধা নেয়। এ জন্যই আমার ছেলের ওপর একের পর এক হামলা চালায়। পুলিশ তাদের বিরুদ্দে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আজ আমার ছেলের ওপর হামলা করার সাহস পেতনা বলে মন্তব্য করেন দেলওয়ারের পরিবারের লোকজন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ৮ জুলাই রাতে ওমর ফারুক বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। কাকোন হাট ফাঁড়ির এসআই মাজেদকে মামলাটি তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে। এছাড়া আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.